Advertisment

লকডাউনের আবহে জন্মদিনে ২০০ মানুষের ভিড় বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে, তদন্তে পুলিশ

ওয়ার্ধার বিজেপি বিধায়ক দাদারাও কেচের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁর বাড়িতে রবিবার প্রায় ২০০ লোকের জমায়েত ঘিরে আলোড়ন উঠেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
wardha bjp mla birthday

বিধায়কের বাড়িতে জমায়েত। নিজস্ব চিত্র

মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার বিজেপি বিধায়ক দাদারাও কেচের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁর বাড়িতে রবিবার প্রায় ২০০ লোকের জমায়েত ঘিরে আলোড়ন উঠেছে। বলা বাহুল্য, সামাজিক দূরত্বের তত্ত্ব একেবারেই মানা হয়নি এক্ষেত্রে।

Advertisment

কেচে যদিও বলেছেন যে তিনি কাউকে তাঁর জন্মদিনে ডাকেন নি, তাঁর বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস মহামারীর মোকাবিলায় জারি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে বিভিন্ন ধারায় নোটিশ জারি করেছেন স্থানীয় মহকুমা শাসক।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কেচে জানান, "আমি স্রেফ ২১ জন শ্রমিককে নিমন্ত্রণ করেছিলাম, করোনাভাইরাসের জন্য যাদের রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে, এবং তাদের মধ্যে কিছু চাল-ডাল বিতরণ করেছিলাম। তারপর সকাল এগারোটা নাগাদ আমার গুরু ভিকারাম বাবার কাছে যাই। কিন্তু আমার রাজনৈতিক বিরোধীপক্ষ এই সুযোগে প্রচার করতে থাকে যে আমি চাল-ডাল বিতরণ করার ফলে আমার বাড়িতে অসংখ্য লোক জমা হয়েছে। আমি খবর পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ফিরে পুলিশের সাহায্য নিয়ে ভিড় সরিয়ে দিই।"

কেচে আরও বলেন, "আমি জানি যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইচ্ছানুসারে আমাদের সকলকেই কড়াভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস করতে হবে। কিন্তু বিরোধীরা এই সুযোগে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে।"

তবে নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির নামে এই অভিযোগ করেন নি কেচে।

সেনাবাহিনীর মহকুমা আধিকারিক হরিশ ধার্মিক স্থানীয় পুলিশকে নোটিশ জারি করে বলেছেন, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন), এপিডেমিক অ্যাক্ট (মহামারী আইন), ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ (সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যথাযথ আদেশ অমান্য করা) ও ২৬৯ (অবহেলা বশত জীবনের ঝুঁকি আছে এমন কোনও রোগের সংক্রমণ ঘটানো) ধারায় কেচের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

ওয়ার্ধার কালেক্টর বিবেক ভিমানওয়ার বলেন, "আমরা ওঁকে এই ধরনের কোনও অনুষ্ঠানের অনুমতি দিই নি, উনি অনুমতি চানও নি। উনি রক্তদান শিবির করতে চেয়েছিলেন, আমরা তারও অনুমতি দিই নি। তার বদলে ওঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যেই আরভি প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে পাঁচজনকে নিয়ে একটি রক্তদান শিবিরের অনুমতি দিই আমরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়মাবলী মেনে। ওঁর বাড়িতে ভিড়ের খবর পেয়েই পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ওই ভিড় সরিয়ে দেয়। মহকুমা শাসক এ ব্যাপারে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।"

ওয়ার্ধার পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট বাসবরাজ তেলি অবশ্য বলেছেন, যেসময় ভিড় হয়, সেসময় বাড়িতেই ছিলেন কেচে। "আমরা তাঁর বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেছি," ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান তিনি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment