চলতি বছর সব রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে দেশের করোনার গ্রাফ। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। শুক্রবার দেশে রেকর্ড সংখ্যক ৮৯,১২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এবার রেকর্ড গড়ল মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৪৯,৪৪৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৭৭ জনের।
শুধুমাত্র মুম্বইতেই ৯,০৯০ জন সংক্রমিত। করোনা অতিমারীর মধ্যে গত বছর এবং চলতি বছর মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বাণিজ্যনগরীতে একদিনে এই পরিসংখ্যান সর্বাধিক। রাজ্যে এখন অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪,০১,১৭২। অন্যদিকে, তার মধ্যে মুম্বইয়ে অ্যাক্টিভ কেস ৬২,১৮৭।
এদিকে, করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খারাপ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের চিকিৎসা পরিষেবা। চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নত করতে উদ্ধব ঠাকরে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সমস্ত রকম শিল্পোদ্যোগে ব্যবহৃত অক্সিজেন সাপ্লাই এবার থেকে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হবে। জৈনিক অক্সিজেন চাহিদা ৭০০ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে। যেখানে রাজ্যের উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ১২০০ মেট্রিক টনের একটু বেশি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের বড় বেশ কয়েকটি শহরে নাইট কার্ফু চালু হয়েছে। সন্ধ্য়া ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি পরিষেবা ছাড়া সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। ফের সম্পূর্ণ লকডাউন এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য রাজ্যের সব প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে টুইটে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বার্তা, ‘ঘোষণা না করলেও আমি রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন নিয়ে সকলকে সতর্ক করছি। আগামী দু’দিন আমি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করব। বিকল্প না থাকলে লকডাউনের পথেই হাঁটতে হতে পারে।’ করোনা চেন ভাঙতে রাজ্যবাসীকে বারংবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, দূরত্ববিধি বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।