গ্রামের একটি অনুষ্ঠানে 'নাচার অপরাধে' বেধড়ক মারধর করা হয় এক দলিত ব্যক্তিকে। অভিযোগ কিছু উচ্চবর্ণের মানুষ ওই দলিত ব্যক্তিকে উলঙ্গ করে মারধর করেন। এরপই বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠান চলাকালীন যখন ওই ব্যক্তি যখন নাচছিলেন, তখন তাকে মারধর করা হয়, এরপরই তিনি বাড়ি ফিরে এমন চরম পদক্ষেপ নেন।
মহারাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে নাচের জন্য পরনের পোশাক জোর করে খুলিয়ে এক দলিত ব্যক্তিকে নির্মমভাবে মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনার পরদিনই আত্মহত্যা করেন নির্যাতিত ওই ব্যক্তি।
পুলিশ এই মামলায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে এবং একজন এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সাত বছরের পুরনো আরেকটি মামলার সঙ্গে এ মামলার যোগসূত্রও সামনে এসেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আহমেদনগর জেলার কোপারদি গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম নিতিন কান্তিলাল শিন্ডে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি লোকশিল্পের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ১ মে রাতে গ্রামে গিয়েছিলেন। ওই দিন রাত ১১টা নাগাদ তিনজন ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে জাতপাত তুলে অশালীন মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন - Prajwal Revanna: তিন বছর ধরে ধর্ষণ…! রেভান্নার বিরুদ্ধে আরও এক ‘কেলেঙ্কারি’ এবার প্রকাশ্যে
অনুষ্ঠানে নাচের জন্য তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা তার জামাকাপড় খুলতে বাধ্য করে এবং তাকে আবারও মারধর করে। তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি বাড়ি ফিরে তার পরিবারকে গোটা ঘটনাটি জানান। পরের দিন ২ মে তিনি বাড়িতে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ ওই ব্যক্তির কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে।
যাতে গোটা ঘটনার জন্য তিনজনকে দায়ী করা হয়েছে। অভিযুক্ত তিনজনই মারাঠা সম্প্রদায়ের। তিনজনের বিরুদ্ধেই IPC এবং SC/ST আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডেপুটি পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ ওয়াখারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন যে বান্টি এবং বৈভবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বপ্নিলের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
২০১৬ সালের কোন ঘটনার সঙ্গে সংযোগ?
২০১৬ সালে, মারাঠা সম্প্রদায়ের একটি ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে গণধর্ষণ এবং হত্যার একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে, আহমেদনগর আদালত তিন অভিযুক্ত জিতেন্দ্র বাবুলাল শিন্দে ওরফে পাপ্পু, সন্তোষ গোরখ ভাওয়াল এবং নীতিন গোপীনাথ ভাইলুমেকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এরপর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে জেলেই আত্মহত্যা করেন জিতেন্দ্র। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে যিনি আত্মহত্যা করেছেন তিনি জিতেন্দ্রের খুড়তুতো ভাই এবং হামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজন মৃতার আত্মীয়।