এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মহারাষ্ট্রে বন্ধ করা হয়েছে একাধিক টিকাকরণ কেন্দ্র। নেপথ্যে অপ্রতুল টিকা মজুত। এই সঙ্কট আবহে অন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল মহারাষ্ট্রের জালনা জেলা। যদিও এই দৃষ্টান্ত ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে জালনা জেলা স্বাস্থ্য দফতরে। জানা গিয়েছে এই জেলা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপের। এখানেই তাঁর বাড়ি। সেই কারণে জালনায় এখন টিকা পর্যাপ্ত। এতটাই পর্যাপ্ত যে সব জেলা যখন স্বাস্থ্য দফতরের ঝাঁপ বন্ধ করছিল, এই জেলায় তখন দৈনিক চাহিদার চেয়ে ১০ দিনের বেশি টিকা মজুত ছিল।
কী ভাবে এটা সম্ভব হল? গত মার্চে মহারাষ্ট্র কেন্দ্র থেকে ২৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ডোজ পেয়েছে। জালনা সেই সময় বরাদ্দ ১৭ হাজার থেকে ৬০ হাজার ডোজ বেশি পেয়েছে। কী করে এটা সম্ভব? স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দফতরে ফোন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জালনার জন্য ৭৭ হাজার ডোজ বরাদ্দ করতে বলেছিলেন।
এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ কোনও জেলাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। বেশি মজুত দেখিয়ে আরও টিকাকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।'
কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রীর জেলায় এভাবে বেশি টিকা মজুতে রে রে করে উঠেছে বিরোধীরা। যেখানে গোটা রাজ্যে টিকার হাহাকার, সেখানে সেখানে প্রয়োজনের চেয়ে কী করে বেশি টিকা মজুত করতে পেরেছে জালনা জেলা স্বাস্থ্য দফতর? প্রশ্ন তুলছেন তারা।
এদিকে, দৈনিক মৃত্যুতে রেকর্ড ভারতে। একদিন করোনার বলি ৩,৭৮০ জন। অতিমারী শুরু পর থেকেই এটাই সর্বাধিক মৃত্যু। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩.৮২ লক্ষ মানুষ। মহারাষ্ট্রে ফের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ও মৃত্যু। একদিন ৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই রাজ্যে। অন্তত ১৩টি রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়েছে।
দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৮৮। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৩৯ জন। ভারতে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ২.০৬ কোটির বেশি। মৃত্যু ২ লক্ষ ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশে টিকাকরণ হয়েছে ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের।
এদিকে, নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে কিটের সমস্যা দেখা দেওয়ায় এ নিয়ে বুধবারই নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করেছে ICMR। বলা হয়েছে, আন্তঃরাজ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে RT-PCR টেস্ট বাধ্যতামূলক নয়। এমনকী সুস্থ হয়ে ফেরার পর জ্বর না এলে পরীক্ষাও করানোর প্রয়োজন নেই।