ফের একলাফে অনেকটা বাড়ল সংক্রমণ মহারাষ্ট্রে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা রুখে দিতে কার্যত সফল ভারত। দেশজুড়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। ছন্দে ফিরছে জনজীবন। তবে কোভিডের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল সংক্রমণ এবং মৃত্যু। সেই সঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী পজিটিভিটি রেটও। কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১০২ জন। গতকাল যে সংখ্যাটা নেমে গিয়েছিল ১৩ হাজারে। তবে একলাফে অনেকটা কমেছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫২২। এক শতাংশেও নিচে নেমে গিয়েছে অ্য়াকটিভ কেস (০.৩৮ শতাংশ)। এই মুহূর্তে ভারতে করোনা পজিটিভিটি রেট ১.২৮ শতাংশ। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ। তবে চিন্তায় রাখছে মহারাষ্ট্রের কোভিড গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন সে রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হাজারের বেশি। প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ জন।গত ২৪ ঘন্টার নিরিখে মহারাস্ট্রে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮০ জন। সেই সঙ্গে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৮ লক্ষ ৬০ হাজার ৩১৭। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬৩৩জন। সেই সঙ্গে সংক্রমণ হার সামান্য বেড়ে হয়েছে ১.৮২ শতাংশ। মুম্বইতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৫, মৃত ২। অন্যদিকে পুনেতে নতুন করে মারন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০৫ জন।
বিধিনিষেধ জারি করে এবং টিকাকরণে জোর দিয়ে সংক্রমণে লাগাম টানা সম্ভব হলেও এখনও খানিকটা চিন্তায় রাখছে দেশের মৃত্যুহার। গত ২৪ ঘণ্টায় যেমন বাড়ল মৃতের সংখ্যা। ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৮ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১২ হাজার ৬২২ জন।
তবে এই উদ্বেগের মাঝেও আশার আলো দেখাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮৮৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৩৭৭ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৪২ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৭৬ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৩৩ লক্ষের বেশি। টিকাকরণের পাশাপাশি চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ১১ লক্ষের ৮৩ হাজার ৪৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।