Mahatma Gandhi famous speech in Bengali: বাপুর স্বপ্নের ঐক্যবদ্ধ ভারত আজ একসঙ্গে তাঁর জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন করছে। তিনি একমাত্র মানুষ যিনি বৈচিত্রে ভরা এই দেশকে ভেদাভেদের ঊর্দ্ধে নিয়ে গিয়ে ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিখিয়েছিলেন।
Mahatma Gandhi Speech: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভারতকে একজোট করেছেন, চেয়েছেন বিশ্বের সমস্ত মানুষের ঐক্য ও সমতা। আজ মঙ্গলবার তাঁর দেড়শোতম জন্মদিবস। বাপুর স্বপ্নের ঐক্যবদ্ধ ভারত আজ একসঙ্গে তাঁর জন্মদিনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছে। তিনি একমাত্র মানুষ যিনি বৈচিত্র্যে ভরা এই দেশকে ভেদাভেদের ঊর্দ্ধে নিয়ে গিয়ে ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিখিয়েছিলেন।
Advertisment
১৯১৫ সালে আইনজীবীর কাজ শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফেরত আসেন মহাত্মা গান্ধী। ১৮৬৯ সালে পোরবন্দের জন্মগ্রহণ করেছিলেন গান্ধীজি। পিতা করমচাঁদ গান্ধী ও মা পুতলিবাই। ১৩ বছর বয়সে বিয়ে করেন কস্তুরবাকে। চার পুত্র সন্তান: হরিলাল গান্ধী, দেবদাস গান্ধী, মনিলাল গান্ধী ও রামদাস গান্ধী। পরে ব্যারিস্টারি পড়তে লন্ডন ইউনিভার্সিটি গিয়েছিলেন তিনি। জাতির ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস তাঁর হাত ধরেই। আজ জাতির জনকের ১৫০ বছরের পূর্তিতে ফিরে দেখা যাক তাঁর কিছু বক্তৃতার অংশ।
১৯৩১ সালের ৩০ এপ্রিল প্রথম টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন মহাত্মা গান্ধী। ফক্স মুভিটোন নিউজের সেই দুর্লভ ক্লিপিং এখানে রইল।
জার্মানিতে ভারতের পূর্ণ স্বরাজের দাবীতে ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। জাতির জনক জানিয়ে দিয়েছিলেন পূর্ণ স্বরাজ আমাদের অধিকার।
১৯৪৭ সালে ২৫ মে গান্ধীজি গোয়ার মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য জাতিকে উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই ভাষা পেয়েছিল সত্যাগ্রহ আন্দোলন।
অহিংস আন্দোলনেরও পথিকৃৎ তিনি। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে বারবার সোচ্চার হয়েছেন মোহনদাস। আইন অমান্য করে সাড়া ফেলেছিলেন, পেয়েছিলেন সাফল্যও।
১৯৩১ সালে লন্ডনের কিংসলে হলে মহাত্মা গান্ধী বক্তব্য রাখেন। সত্যাগ্রহ ও অহিংস আন্দোলন নিয়েই কথা বলেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন যাপনে তিনি উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁর জীবনই যে তাঁর বাণী, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, যিনি জাতির জনক হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।