মহুয়া-ভিত্তিক অ্যালকোহল-যুক্ত পানীয় বাজারে ছাড়তে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এর নাম দেওয়া হয়েছে 'মহুয়া নিউট্রিবেভারেজ'। জানা গিয়েছে, আগামী মাস থেকেই ৭৫০ মিলিলিটারের এই পানীয়ের বোতল পাওয়া যাবে ৭০০ টাকায়। ছ'রকম ভিন্ন স্বাদে পাওয়া যাবে এই পানীয়টি। এতে থাকবে উচ্চপুষ্টিগুণ এবং তুলনামূলকভাবে কম রাখা হবে অ্যালকোহলের মাত্রা (৫ শতাংশ)।
ট্রাইফেড (ট্রাইবাল কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ডেভেলপমেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া)-এর সহযোগিতায় দু'বছর ধরে গবেষণার পর এই পানীয় প্রস্তুত করেছে আইআইটি দিল্লি। ট্রাইফেডের এমডি প্রবীর কৃষ্ণ বলেন, "আমরা বর্তমানে আবগারি বিভাগের লাইসেন্সের অপেক্ষায় আছি। পরবর্তীতে দিল্লির জনজাতিদের দোকান থেকে এই পানীয়টি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে"। তিনি আরও বলেন যে তাঁরা সারা দেশে পানীয় বিক্রি করার পরিকল্পনা করার পর এই পানীয় বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতিটি রাজ্যকে তাঁদের নিজস্ব প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রথমবার করোনা মোকাবিলায় এইডস-এর ওষুধ প্রয়োগ
ইতিমধ্যেই জাতীয় গবেষণা উন্নয়ন কর্পোরেশনের (এনআরডিসি) সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ট্রাইফেড। সেখানে বলা হয়েছে, পানীয় উৎপাদন ও বিপণনের জন্য উপযুক্ত উদ্যোক্তাদের এই প্রযুক্তি হস্তান্তর করার দায়িত্ব গ্রহণের চেষ্টা করবে এনআরডিসি। প্রাথমিকভাবে, আদিবাসী বাহুদ্দেশিয় সমবায় সমিতির (এবিসি) এই পানীয় তৈরি করতে এবং তা বাজারে বিক্রি করতে গত ৬ মার্চ এনআরডিসি-র সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মর্গ আর থানার মাঝেই না পাওয়া আত্মীয়দের খোঁজ চলছে রাজধানীতে
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে এই পানীয়ের বাণিজ্যিকরণের কথা ছত্তিশগড়ের বিজাপুরের সভা থেকে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রকের মান-সংযোজন প্রকল্পের আওতায় এই বিপণন পরিচালনার কথা ঘোষণাও করা হয়। এমনকী দেশব্যাপী আদিবাসীদের প্রশিক্ষণের জন্য ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই পানীয় বিক্রির মাধ্যমে তাঁদের আয় বহুগুণ বৃদ্ধি করার জন্য প্যাকেটজাত পণ্য হিসেবে এই পানীয়কে বিক্রি করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। মহুয়া ছাড়াও উপজাতিদের বানানো তেঁতুল এবং আমলকিকে বাজারে ক্যান্ডি এবং জ্যামের আকারে আনার পরিকল্পনাও নিয়েছে সরকার।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন