হিংসার ব্য়াপারে পশ্চিমবঙ্গের দিকে অন্য়ায়ভাবে আঙুল তোলা হচ্ছে, অন্য়দিকে উত্তর প্রদেশের মত রাজ্য়গুলিতে হিংসার ঘটনা নজর এড়িয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র মঙ্গলবার সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময়ে এ কথা বলেছেন।
লোকসভায় ভাষণ দেওয়ার সময়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলেন, সংসদ এখন পশ্চিমবঙ্গ ইস্য়ু তোলার একটা জায়গা হয়ে গিয়েছে এবং বিভিন্ন বিষয়ে সাধারণীকরণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, ক্ষুব্ধ মোদী, কৈলাশ-পুত্রকে নাম না করে ভর্ৎসনা
গত সপ্তাহেই মহুয়া মৈত্র সংসদে তাঁর প্রথম ভাষণে আগুন ঝরিয়েছিলেন। সে ভাষণে তিনি বলেছিলেন দেশ ক্রমশ ফ্য়াসিবাদের দিকে এগিয়ে চলেছে। দেশ যে ক্রমশ এক বিপজ্জনক পথে চলেছে, সে কথা বলতে গিয়ে মহুয়া সাতটি চিহ্নের উল্লেখ করেছিলেন।
মহুয়া বলেছিলেন,"একটা দেশের মন্ত্রীরা যেখানে তাঁদের কলেজের গ্র্য়াজুয়েশন ডিগ্রির সার্টিফিকেট দেখাতে পারেন না, সেখানে এমনটা আশা করা উচিত নয় যে গরিব মানুষ নিজেদের এ দেশের বাসিন্দা প্রমাণ করার জন্য় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারবেন।"
আরও পড়ুন, ফেক নিউজে রাশ টানতে আইন প্রণয়নের দাবি রাজ্যসভায়
ইতিমধ্য়ে সমাজবাদী পার্টির সদস্য় শফিকুর রহমান বর্ক গণপিটুনির বিষয়টি এদিন লোকসভায় উত্থাপন করেন। তিনি বলেন এ দেশে মুসলমানরা ব্য়াপক সমস্য়ার মুখোমুখি হচ্ছেন, ঝাড়খণ্ডের মত রাজ্য়ে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। তিনি বলছিলেন তবরেজ আনসারির কথা, যাঁকে গত ২৪ জন চুরির অভিযোগ তুলে মারধর করা হয়। পাঁচদিন পর তিনি মারা যান।
জিরো আওয়ারে এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বর্ক বলেন,"আমাদের স্থির করতে হবে এ দেশে মুসলিমরা কীভাবে থাকবে।"