Advertisment

দু' পয়সার প্রেস! ব্যাঙ্গাত্মক ভাষায় 'সঠিক' বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন মহুয়া মৈত্র

বিতর্ক নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূল সাংসদের?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mohua

মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) "দু' পয়সার প্রেস" বক্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়া কার্যত উত্তাল। কিন্তু তৃণমূল সাংসদ তাঁর এমন বক্তব্য থেকে একচুলও সরলেন না! ক্ষমা চাইলেন ঠিকই। তবে ব্যাঙ্গাত্মক ভাষায়। বললেন, "আমি ক্ষমা চাইছি কুরুচিকর, দুঃখজনক তবে সঠিক বক্তব্যের জন্য।"

Advertisment

প্রসঙ্গত, মহুয়া মৈত্রর এই বক্তব্যের জেরে সোমবার প্রেস ক্লাব থেকেও একটি বিবৃতি জারি করে। সেখানে সাংসদের এমন মন্তব্য প্রত্যাহার করার দাবিও তোলা হয়। কিন্তু এদিন সন্ধেবেলা মহুয়া মৈত্রর সোশ্যাল মিডিয়া স্টেটাস এবং হোয়াটসঅ্যাপ ডিপি সাফ বুঝিয়ে দেয় যে, তিনি মোটেই ক্ষমাপ্রার্থী নন এমন একটা মন্তব্য করার জন্য।

রবিবার সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বক্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। ঘটনার সূত্রপাত রবিবার গয়েশপুরে দলীয় বৈঠকে। নদিয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বে রয়েছেন মহুয়া মৈত্র। সেখানেই বৈঠকের মাঝে কর্মীদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হন তিনি। পোস্টার প্ল্যাকার্ড হাতে তৃণমূল নেতা মিন্টুদের নেতৃত্বে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। দলেরই দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে। আর তাতেই মেজাজ হারান নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সাংসদ। তাঁর দাবি, দলের আভ্যন্তরীণ বিষয় সংবাদমাধ্যম কেন ঢুকবে? দলীয় বৈঠকে সংবাদমাধ্যমকে ঢোকার অনুমতি কে দিয়েছেন, জানতে চান দলের নেতা-কর্মীদের কাছে। এরপরই উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, "কে এই দু'পয়সার প্রেসকে ভেতরে ডাকে? কর্মী বৈঠক হচ্ছে। আর সবাই টিভিতে মুখ দেখাতে ব্যস্ত। আমি নির্দেশ দিচ্ছি, প্রেসকে সরান!" মহুয়ার সেই বক্তব্যই রেকর্ড করা হয়। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই তৃণমূল সাংসদকে কটাক্ষ করা শুরু করেন অনেকে।

তবে মহুয়া মৈত্র টুইটারে মিমের আকারে যে পোস্ট করেছেন, তাতেও ক্ষুব্ধ অনেকে। সেখানেও তিনি খানিক ব্যাঙ্গাত্মকভাবেই বলেছেন, "আমার মিম সম্পাদনার দক্ষতা ক্রমশই উন্নত হচ্ছে।"

Mahua Moitra
Advertisment