এনসিসির মহিলা ক্যাডেটের সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ উঠল সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেলের বিরুদ্ধে। সেনার তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ভদোদরার আদালতে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, গুজরাটের ওই তরুণীকে অশ্লীল মন্তব্য করে মেসেজ এবং ভিডিও পাঠাতেন অভিযুক্ত মেজর জেনারেল।
গুজরাটে থাকাকালীনই অফিসারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে, তবে সম্প্রতি অন্য রাজ্যে রয়েছেন তিনি। এনসিসি-র সিনিয়র উইংস-এর ওই তরুণীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণের পাশাপাশি আর্থিক নয়ছয় সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগও আনা হয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
তদন্তের জন্য আদালতের বিচারপতি সহ বেশ কয়েকজন সেনা আধিকারকিদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে বিযয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালাতে অন্যান্য যেসব ক্যাডেটদের সঙ্গে ওই অভিযুক্ত অফিসার ফোনে যোগাযোগ করতেন এবং অশ্লীল মেসেজ পাঠাতেন তাঁদের সঙ্গেও কথা বলা হয়। আদালত জানায়, সমস্ত মোবাইল ফোনগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে এবং গুগল ক্লাউডে সংরক্ষিত ভিডিও সহ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজও খতিয়ে দেখা হবে।
সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর মুখ্য দফতর থেকে জানানো হয় যে, আদালতে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ গিয়েছে। মেজর জেনারেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয় জানতে চাওয়া হলে এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানান, “আত্মপক্ষ সমর্থনে ওই অভিযুক্ত অফিসার জানিয়েছেন যে তাঁর মোবাইল ফোনটি কেউ নিয়ে সে-ই এই সমস্ত মেসেজ এবং ভিডিও পাঠিয়েছে।“
জানা গিয়েছে, সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক বিজ্ঞাপন দিতেন তিনি এবং তাঁর অধস্তন অফিসারদেরও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত সম্প্রতি দিল্লিতে সেনাবাহিনীর আধিকারিক এবং তাঁদের স্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন, এবং বলেন যে, পরবর্তীকালে কোনও সেনার নৈতিক পদস্খলনজনিত কাজ বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে এই বিষয়ে কঠোর শাস্তিরও ব্য়বস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি