/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/09/IMG-20180924-WA0084.jpg)
রাজ্যে মহামারীর আকার ধারণ করেছে ম্যালেরিয়া, এবছর এই রোগে ছ’জন রোগী মারা গেছেন ত্রিপুরায়, রাজ্য মহাকরণে আজ সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ।
“গত ছ'মাসে সারা রাজ্যে আমরা এক লাখের বেশী রোগীর রক্ত পরীক্ষা করেছি। তাতে ৭,৯৯১ জন ম্যালেরিয়া রোগী পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ছ'জন এ পর্যন্ত মারা গেছেন,” জানান সুদীপবাবু।
গত বছর ত্রিপুরায় মোট ৫,০৫৮ জন ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল। এবছর রোগের প্রকোপ বেশি, একথা মন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন। তবে তাঁর দাবি, সময়ের আগে এবং অন্যান্য বছরের তুলনায় কম বৃষ্টি হওয়ায় এবছর জমা জলে মশার বংশবৃদ্ধি হবার সুযোগ বেশি ছিল।
পাশাপাশি ৪০জন জাপানি এনকেফেলাইটিস আক্রান্ত রোগী, ৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত, ৪৯ জন চিকুনগুনিয়া ও একজন সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত রোগীও চিহ্নিত করা হয়েছে রাজ্যে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্ষার মরশুমে পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে রাজ্যব্যাপী স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৪,২৭৬টি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
২০১৪ সালে ত্রিপুরায় ভয়াবহ ম্যালেরিয়া মহামারিতে ৯৬ জনের মৃত্যু হয়। সুদীপবাবু আজ জানান, এবছরের ম্যালেরিয়া প্রাদুর্ভাবও একইরকম মহামারীর আকার নিয়েছিল। তবে যথাসময়ে চিকিৎসা পরিষেবার আওতায় সবাইকে নিয়ে আসায় মৃত্যুর মিছিল আটকে দেওয়া গেছে।
মৃতদের মধ্যে ২৬ বছর বয়সী একজন মহিলা ও ১০ বছর-অনূর্ধ ৫ জন শিশু রয়েছে। এরা সকলেই উপজাতি সম্প্রদায়ের।
ত্রিপুরার আটটি জেলার মধ্যে আজ পর্যন্ত ধলাই জেলাতেই সবচেয়ে বেশি ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে।