Parliament Monsoon Session: সোমবারের পর মঙ্গলবারেও দফায় দফায় মুলতুবি হয়েছে সংসদ। এদিন সকালে লোকসভার অধিবেশন শুরু হওয়া মাত্রই পেগাসাস-কাণ্ডে সুর চড়ায় বিরোধীরা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলের সাংসদরা। ‘গুপ্তচর সরকার’ স্লোগান তুলে তাঁরা সংসদে সরব হয়েছিলেন। সকাল ১১টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় লোকসভা।
এরপর ১১টায় ফের অধিবেশন বসলে পেগাসাস-কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলের সাংসদরা। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি-সহ আরও একাধিক ইস্যুতে সংসদের নিম্নকক্ষে সুর চড়ায় বিরোধী শিবির। মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই ফের মুলতুবি হয় লোকসভা।
এদিকে, রাজ্যসসভায় বলতে উঠে মোদী সরকারের লকডাউন নীতির বিরোধিতায় সরব হন কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খারগে। সংসদের উচ্চকক্ষে কংগ্রেসের দলনেতার অভিযোগ, ‘নোটবন্দীর মতোই দেশব্যাপী লকডাউনে প্রস্তুতি ছিল না কেন্দ্রের। যার প্রভাবে মানুষের জীবন বিপন্ন হওয়ার জন্য সরকারকেই দায় নিতে হবে।‘ এমনকি একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব করোনাবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এমন অভিযোগ এদিন করেছেন খারগে।
জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলের পর পেগাসাস-কাণ্ডে রাজ্যসভায় সরকারি বিবৃতি দেবেন মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের নোটিশ গ্রহণ করে এই বিবৃতি। এমনটাই মোদী সরকার সূত্রে খবর। অপরদিকে, এদিন বেলা ৩টে নাগাদ ফের একবার লোকসভা বসলেও, অব্যাহত ছিল বিক্ষোভ। ফলে ২১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে অধিবেশন। এদিকে, পেগাসাস বিতর্কে সোমবার দিনভর জাতীয় রাজনীতি উত্তাল। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে শোয়ার ঘরে নজরদারির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। অন্য বিরোধী দলগুলিও নেতা-সাংবাদিকদের ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে সরব। এবার বিতর্কে জল ঢালতে কোমর বেঁধে নামলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। শাহ এবং কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই রিপোর্টকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছেন।
সোমবার শাহের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। যাতে বিরোধীদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, “খুব সুন্দর করে সাজানো ছক। গতকাল সন্ধে থেকে এই রিপোর্ট নিয়ে সীমিত কিছু শ্রেণির লোকজন লাফালাফি করছে। উদ্দেশ্য একটাই, যেনতেন প্রকারেণ ভারতকে অসম্মানিত করা বিশ্বের দরবারে। সেই পুরনো ছকে ভারতের উন্নয়নমূলক কাজকর্মকে ব্যাহত করে দেশকে অপমানিত করা।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন