রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় নবতম সংযোজন হতে চলেছে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়। কন্যাশ্রী প্রকল্পের অন্তর্গত মেয়েরা সহজে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। মঙ্গলবার কন্যাশ্রী দিবসে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আরও বেশ কিছু ঘোষণা করেছেন মমতা।
রাজ্য জুড়ে এদিন কন্যাশ্রী দিবস পালন করা হয়। মূল অনুষ্ঠানটি হয় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, "কন্যাশ্রী নামাঙ্করন করে উত্তরকন্যা অতিথি নিবাস হয়েছে। কন্যাশ্রীর নামে লঞ্চ রয়েছে। অনেক প্রকল্প রয়েছে। আমি একটা কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় করতে চাই। এটা মহিলা ও শিশু বিভাগ তদারকি করবে। ওই বিশ্ববিদ্যালয় কন্যাশ্রীর মেয়েদের পড়াশুনার জন্য। সেখানে তাদের সমস্ত সুবিধা থাকবে।"
একইসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখন থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে কারও কোনও বাধা থাকবে না। আগের বছর যে সব পরিবারের দেড় লক্ষ টাকা আয় ছিল তারাই কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুযোগ পেত। এখন সবাই পাবে। নিষেধ তুলে দেওয়া হল। এর ফলে আরও ৩ লক্ষ মেয়ে এবার কন্যাশ্রী প্রকল্পে যুক্ত হবে। ফলে আরও ২০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে আরও ভাবনা-চিন্তা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা দফতরকে কন্যাশ্রী মেয়েদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে স্কিল বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন কন্যাশ্রীর মেয়েদের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে। তারা যেন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কাজ করার সুযোেগ পায়। তিনি বলেন, “আমি চাই, ৫৩ লক্ষকে প্রশিক্ষণ দিতে। তাদের যেন ভিক্ষে করতে না হয়। কারও দরজায় গিয়ে দাঁড়াতে না হয়।" এদিন তাঁর বক্তব্যে সমাজে ভেদাভেদ, দাঙ্গা রোধ করতে কন্যাশ্রী মেয়েদের এগিয়ে আসতে পরামর্শ দেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুুফল মিলছে।রাজ্যে স্কুল ছুট কমে গিয়েছে সাড়ে ১১ শতাংশ।" তিনি আরো জানান, সংসদে তৃণমূলের মহিলা সাংসদের শতাংশের অনুপাত ৩৫.২৯। যা বিশ্বে সর্বোত্তম। সারা ভারতে ওই হিসাব গড়ে ১২.২ শতাংশ।