নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালদের মবানবীকে নিয়ে বিকর্তিত মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে। উপসাগরীয় দেশগুলিতে মুখ পুড়ছে ভারতের। তড়িঘড়ি নূপুর ও নবীনকে দল থেকে বিষ্কার করেছে বিজেপি। দিল্লি পুলিশের তরফেও কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু, বহিষ্কৃত বিজেপি নেতৃত্বের গ্রেফতারির দাবিও জোড়াল হচ্ছে। এই তালিকা এবার সামিল হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ফলে বিতর্ক নয়া মাত্রা পেল।
পয়গম্বরকে নিযে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের জন্য পদ্ম শিবিরকে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নূপুর ও নবীনদের মন্তব্যে দেশের বৈচিত্রপূর্ণ ঐক্যের বুনট নষ্ট হচ্ছে বলেও তোপ দেগেছেন তিনি।
একাধিক টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'আমি বিজেপির কিছু সর্বনাশা, দায়িত্বজ্ঞানহীন নেতা-নেত্রীর সাম্প্রতিক জঘন্য, প্ররোচনামূলক, বিভেদমূলক ও ঘৃণাসর্বস্ব মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি। এমন মন্তব্য ও আচরণের ফলে শুধু হিংসাই ছড়ায় না, দেশের মন বিভক্ত হয়, দেশের শান্তি ও সংহতিও নষ্ট হয়। আমি জোরালোভাবে দাবি করছি, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য ও ঐক্য রক্ষার স্বার্থে এবং সর্বসাধারণের মানসিক শান্তির প্রয়োজনে বিজেপির অভিযুক্ত নেতা-নেত্রীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।'
উসকানিতে সাড়া না দিয়ে দেশবাসীকে সম্প্রীতি বজায় রাখতে আর্জি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে লিখেছেন, এই ঘৃণ্য প্ররোচনা সত্ত্বেও, আমি আমার সমস্ত জাতি, ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের সকল ভাই ও বোনদের কাছে সাধারণ মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।'
আরও পড়ুন- সমর্থন মিললেও মুখ পুড়ছে ভারতের, নূপুর-নবীন-সাবা সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ শাহর পুলিশের
দেশে বিদেশে নূপুর ও নবীনদের বক্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠলেও বহু মানুষ আবার তাঁদের সমর্থনও করছেন। এই অবস্থায়, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মরিয়া দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল বুধবার দিল্লি বিজেপির মিডিয়া বিভাগের বহিষ্কৃত প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল, সাংবাদিক সাবা নকভি সহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন হিন্দু মহাসভার কর্তা পূজা শাকুন পাণ্ডে, রাজস্থানের মৌলানা মুফতি নাদিম এবং পিস পার্টির প্রধান মুখপাত্র শাদাব চৌহান। সাসপেন্ডেড বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং অন্যান্য সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধেও দ্বিতীয় এফআইআরটি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই আটজনের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়া পোস্ট দ্বারা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে পুলিশের অভিযোগ।
এছাড়া, এফআইআরে নাম রয়েছে এআইএমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি এবং হিন্দুত্ববাদী নেতা যতি নরসিংহানন্দেরও।
আরও পড়ুন- উসকানিমূলক বক্তব্য, ওয়েইসি-নরসিংহানন্দের বিরুদ্ধেও FIR দিল্লি পুলিশের