বন-সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে এবার তদন্তে অনুমোদন দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা।
বন-দফতরের নিয়োগ ঘিরে 'কারসাজি'র অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তের কথা বলে হুমকিও দিয়েছিলেন। নাম না করে নিশানা করেছিলেন বন-দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী, সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাল্টা 'সুপারিশ' মেসেজ ফাঁসের ধমকি দেন প্রাক্তন মন্ত্রী। এর মধ্যেই বন-সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে এবার তদন্তে অনুমোদন দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা।
শুভেন্দুর অধিকারী কায়দাতেই ধাপে ধাপে মন্ত্রিত্ব, বিধায়ক ও তৃণমূলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর চাটার্ড প্লেনে দিল্লিতে অমিত শাহের বাড়িতে গিয়ে বিজেপিতে নাম লেখান তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি রাজীব। মমতাও 'ক্নিন শিট' রাজীবের বিরুদ্ধে কড়া কথা বলেননি।
কিন্তু তাল কাটে গত বুধবার আলিপুরদুয়ারে। প্রাক্তন মন্ত্রীর নাম না নিয়েই মমতা বলেন 'আমি জানি যে ছেলেটা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ছিল, বন সহায়ক স্কিমে আমাদের সঙ্গে থাকা এক নেতা কারসাজি করেছে। আমার কাছে অনেকে এই অভিযোগ করেছে। নির্বাচন ঘোষণা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে।' অভিযোগের তির যে রাজীববাবুর বিরুদ্ধে তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগের জবাব দেন বিজেপি নেতা রাজীব। কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, 'মন্ত্রিত্বে থাকাকালীন নিয়োগ ঘিরে কে কবে কোথা থেকে সুপারিশ করেছে, কালীঘাট থেকে কোন সুপারিশ এসেছে- সব প্রমাণ রয়েছে। কেঁচো খুড়তে খুড়তে কেউটে সাপ আপনি বার করছেন। আপনি বন-সহায়ক পদের নিয়োগ বাতিল করে দিন। তাহলে দুধ কা দুধ পানি কা পানি হয়েছে যাবে।'
রীতিমত হুঙ্কারের সুরে বলেন,‘শুধু বন-সহায়ক নয় সব চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের সুপারিশ কোথা থেকে কারা করেছিলেন, কীভাবে নিয়োগ হয়েছে সব তথ্য আমার কাছে আছে। তদন্ত করুন। চ্যালেঞ্জ করছি। সামলাতে পারবেন তো?’ তাঁতে দলে রাখতে তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতাকে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাজীববাবু।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন