Advertisment

করোনার জের, ভিডিও কলেই বাবার শেষকৃত্য দেখলেন কাতার ফেরত ছেলে

"আমার কিছু উপায় ছিল না সেই সময়। আইসোলেশন ওয়ার্ডে একা একা বসেই কেঁদেছি। এটা যে কী ভয়ানক অনুভূতি। এক হাসপাতালে থেকেও বাবাকে দেখতে পেলাম না।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বাবা শেষ সজ্জায়। সত্তর বছরের বাবাকে দেখতে কাতার থেকে কেরালায় এসেছেন লিনো অ্যাবেল। কিন্তু করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ৫৪০০ জনের সঙ্গে হাসপাতালে পরীক্ষাধীন তিনিও। বাবাকে শেষ দেখাও দেখতে পেলেন না অ্যাবেল। অতএব হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ভিডিও কলেই বাবা অ্যাবেল ওসেফের শেষকৃত্য দেখতে হল ছেলেকে।

Advertisment

আরও পড়ুন: বাড়ল শুল্ক, বিশ্ববাজারে দাম কমলেও ভারতে আরও দামি পেট্রল-ডিজেল

ফেসবুকে একটি পোস্টে অ্যাবেল লেখেন, "আমি যখন কোচিতে পৌঁছই। আমার কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না। আমার দেহের তাপমাত্রাও ঠিক ছিল।" প্রসঙ্গত কোচিতে ফিরে বাবাকে এক ঝলক দেখার অবকাশ পায়নি অ্যাবেল। তিনি দেশে পা রাখার পরই তাঁর বাবাকে মেডিকেল কলেজের লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে। অ্যাবেল বলেন, "আমি যখন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসি তখনই আমার গলায় ব্যাথা শুরু হয়। তখনই হাসপাতালে করোনার বিভাগে রিপোর্ট করার সিদ্ধান্ত নেই। আমি কাতার থেকে এসেছি শুনেই ডাক্তার তৎক্ষণাৎ আমার করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেয় এবং আমাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়।"

আরও পড়ুন: পেহেলু খান হত্যা মামলা: রেকর্ড নেই ভিডিও ক্লিপের, স্তম্ভিত বিচারক

যে রাত্রে অ্যাবেলকে ভর্তি করা হয় আইসোলেশন ওয়ার্ডে সেই রাত্রেই তাঁর বাবার স্ট্রোকে মৃত্যু হয়। বাবাকে একবার দেখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুনয় বিনয় করলেও মেলেনি অনুমতি। ধরা গলা নিয়ে অ্যাবেল বলেন, "আমার কিছু উপায় ছিল না সেই সময়। আইসোলেশন ওয়ার্ডে একা একা বসেই কেঁদেছি। এটা যে কী ভয়ানক অনুভূতি। এক হাসপাতালে থেকেও বাবাকে দেখতে পেলাম না।" শোকস্তব্ধ গলায় অ্যাবেল বলে চলেন, "বাবার শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমি ভিডিও কলের মাধ্যমে বাবাকে দেখতে পেরেছি।" বাবাকে দেখতে না পাওয়ার দুঃখ কোনওভাবেই ভুলতে পারছেন না আবেল। তিনি বলেন যে তিনি যদি গলার ব্যাথার কথা হাসপাতালে না জানাতেন তাহলে হয়তো একবার দেখতে পারতেন তাঁর বাবাকে। থাকতে পারতেন অন্তিম যাত্রায়।

Read the story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus corona
Advertisment