জঙ্গি সন্দেহে এলোপাথাড়ি মার, আর তাতেই মৃত্যু হল এক যুবকের। এমনই অভিযোগে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পোখরান এসডিএম অফিস চত্ত্বর। দোষী সেনাকর্মীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি উঠতে শুরু করে। জানা গিয়েছে রাজস্থানের পোখরানের ফায়ারিং রেঞ্জ এলাকায় গবাদি পশুর সন্ধানে গিয়েছিল দুই যুবক। সেনাকর্মীরা দেখে ফেলায় তাদের দাঁড়াতে বলে কিন্তু ভয়ে পেয়ে মোটর বাইক ফেলে রেখেই পালাতে শুরু করেন ২ যুবক।
এরপরই সেনা কর্মীদের হাতে ধরা পড়ে একজন। তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাতেই গুরুতর আহত হন সালমান নামের বছর ২৪ এর এক যুবক। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানান হয়েছে, সেনার গাড়ি দেখেই পালাতে গিয়েই ঘটে এই বিপত্তি। যেহেতু এটি একটি নিষিদ্ধ এলাকা, সেখানে দুই যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখেই সন্দেহ হয় সেনা জওয়ানদের। তাদের দাঁড়াতে বললে ভয়ে তারা বাইক ফেলে পালাতে শুরু করে এরপরই যুবককে ধাওয়া করে ধরে ফেলে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়।
যুবকের পরিবারের অভিযোগ ‘স্রেফ গবাদি পশুর খোঁজ করতেই সলমান সেখানে যায়। সলমানের এক বন্ধু পালাতে সক্ষম হলেও সলমান সেনাদের হাতে ধরা পড়ে যায়। এরপর শুরু হয় ব্যাপক মারধর। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা পোখরান এসডিএম অফিসের সামনে মৃতদেহ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধর্নায় বসেন। , অভিযুক্ত সেনাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান হয়। পাশাপাশি ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয় পরিবারের তরফে।
আরও পড়ুন: <রামানার পর প্রধান বিচারপতি কে? নাম ঠিক করতে বৈঠক সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের>
এই ঘটনায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল অমিতাভ শর্মা বলেছেন "সেনাবাহিনী এবং পুলিশ উভয়ই যৌথভাবে মামলাটি তদন্ত করছে, পোখরান ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জ, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত, সশস্ত্র বাহিনী সেখানে সর্বদাই মোতায়েন থাকে। দেয়। ১ লা আগস্ট সকাল ১১:৩০ মিনিট নাগাদ রুটিন টহল চলাকালীন, দুজন লোককে দেখা গিয়েছিল যারা স্পর্শকাতর প্রতিরক্ষা এলাকার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ভিতরে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল। সেনা টহলদারি দল তাদের কাছে গেলে একজন পালিয়ে যায় এবং অন্য একজনকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরিবারের লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতে সেনাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে”।