মামা তন্ত্রসাধনা করে তাঁর চরম ক্ষতির চেষ্টা করছে। এই ধারণাই তৈরি হয়েছিল ভাগ্নের। তার জেরেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটেগেল। ৬০ বয়সী মামার শিরশ্ছেদ করল ভাগ্নে। শুধু তাই নয়, হত্যাকারী যুবক একহাতে ওই কাটা মুণ্ড এবং অন্য হাতে কুড়ুল নিয়ে রাস্তায় প্রায় ২ কিমি হাঁটলেন। যা দেখে তাজ্জাব সবাই। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে জামোদি থানার অন্তর্গত করিমাটি গ্রামের।
২৬ বছর বয়সী অভিযুক্তের সন্দেহ যে তাঁর মামার তন্ত্রসাধনা করে ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করেছিল। জামোদি থানার ইনচার্জ শেশমণি মিশ্র জানান, অভিযুক্ত লালবাহাদুর গৌড় শুক্রবার এই অভইযোগ নিয়েই নিজের মামা মাকসুদন সিং গৌড়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এরপরই তুমুল ঝগড়া শুরু হয় দু'জনের। যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এরপরই প্রচণ্ড ক্রোধে মামার ঘাড়ে কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে লালবাহাদুর।
পুলিশের কথায়, এই আঘাত এতটাই তীব্র ছিল যে মামার মাথা ও দেহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জামোদি থানার ইনচার্জ মিশ্র জানান যে, হত্যার পর, অভিযুক্ত তাঁর এক হাতে মামার কাটা মাথা এবং অন্য হাতে কুড়ুল নিয়ে থানার দিকে হাঁটা শুরু করেন, কিন্তু পুলিশ সবটা জানতে পেরেই মাঝপথ থেকে লালবাহাদুর গৌড়লালবাহাদুর গৌড় গ্রেফতার করে।
জেরায় ধৃত লালবাহদুর জানিয়েছে যে, মামা তন্ত্রসাধনার মাধ্যমে তাঁকে নিশানা করে সমস্যা তৈরি করছিলেন। তাঁকে অনেকবার তা করতে বলা হয়েছিল কিন্তু, মামা কোনও মতেই তাতে রাজি ছিলেন না। এর ফলেই মামাকে হত্যা করে শাস্তি দিয়েছে লালবাহাদুর। জেরায় নাকি পুলিশকে একথা জানিয়েছে সে।
Read in English