নয়া তিন তালাক আইনে প্রথম অভিযোগ দায়ের মহারাষ্ট্রে

হোয়াটস অ্যাপে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অভিযোগে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করেছে মুম্বই পুলিশ।

হোয়াটস অ্যাপে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অভিযোগে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করেছে মুম্বই পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tripple talaq, তিন তালাক

হোয়াটস অ্যাপে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অভিযোগে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করেছে মুম্বই পুলিশ।অলঙ্করণ: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

তিন তালাক বিল পাসের পর এই প্রথম নয়া আইনে মহারাষ্ট্রে অভিযুক্ত করা হল এক ব্যক্তিকে। হোয়াটস অ্যাপে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অভিযোগে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করেছে মুম্বই পুলিশ। প্রোটেকশন অফ রাইটস অন ম্যারেজ অ্যাক্ট, ২০১৯ অনুযায়ী এই প্রথম মহারাষ্ট্রে কাউকে অভিযুক্ত করা হল।

Advertisment

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। আর তা নিয়েই সাংসারিক অশান্তি। এর জেরেই ৩ বছরের বিবাহিত জীবনে ইতি টানতে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। হোয়াটস অ্যাপে তালাক দেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে থানে কমিশনারেটের অফিসের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। তারপরই তাঁর স্বামীকে এই নয়া আইনে অভিযুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন: উন্নাও: গাড়ি দুর্ঘটনার তদন্তে ২০ জনের অতিরিক্ত বাহিনী তৈরি করল সিবিআই

অভিযোগপত্রে ৩১ বছর বয়সী ওই মহিলা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তাঁদের বিয়ে হয়। এটা তাঁদের দু’জনেরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। বিয়ের প্রথম দিন থেকেই তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে হেনস্থা করতেন। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন অভিযোগকারিণী। এ প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘স্বামী টাকা চাইত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। জামাইকে বাইক কিনে দেওয়ার জন্য লোন নিয়েছিলেন মহিলার বাবা’’। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে পারেন ওই মহিলা। তারপর থেকেই তাঁদের মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকত বলে জানা গিয়েছে।

Advertisment

২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর তুমুল অশান্তি হয় তাঁদের মধ্যে। এরপরই হোয়াটস অ্যাপে স্ত্রীকে তিন বার তালাক শব্দ লিখে পাঠান স্বামী। ফোনেও তিন বার তালাক বলেন স্বামী। তারপর থেকেই তাঁদের মধ্যে আর কথা হয় না। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ‘‘গত বুধবার বিল পাস হওয়ার পরই থানের কমিশনারের অফিসে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। নতুন আইনের আওতায় স্বামীকে অভিযুক্ত করার আর্জি জানান তিনি’’। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামীকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।

Read the full story in English

national news