Advertisment

বাঘিনীর হানায় বেঘোরে মৃত্যু ওড়িশায়, ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা

কৈলাশি গরনায়ক নামে ওই মহিলা বুধবার পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন। এরপর থেকেই তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে গ্রামবাসীরাই ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tigress, বাঘিনী

বাঘিনীর আক্রমণেই মহিলার মৃত্য়ু হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

কয়েকদিন আগেই তাকে মধ্য়প্রদেশ থেকে সে রাজ্য়ে আনা হয়েছিল। নতুন আবহাওয়া, নতুন পরিবেশ, কোথায় মানিয়ে গুছিয়ে চলবে তা নয়, উল্টে তার স্বমহিমা দেখাতে গিয়ে নিজেই বিড়ম্বনার শিকার হল সে। রাজ্য়ের নতুন অতিথিকে পেয়ে আপ্লুত হওয়া তো দূর, নতুন অতিথির ভয়ানক কাণ্ড দেখে তাকে রাজ্য় ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলছেন এলাকাবাসীরা। নতুন অতিথি হল এক বাঘিনী। যাকে মধ্য়প্রদেশ থেকে ওড়িশার সাতকোসিয়া অভয়ারণ্য়ে আনা হয়। সেই বাঘিনীর রোষে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন এলাকারই এক মহিলা। যে ঘটনাতেই ক্ষেপে গিয়েছেন এলাকাবাসীরা।

Advertisment

ওড়িশার অঙ্গুল জেলার তিকারপাড়া রেঞ্জের হাতিবাড়ি গ্রামের এক মহিলার মৃত্য়ু হয়েছে ওই বাঘিনীর আক্রমণেই, এমনই অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। কৈলাশি গরনায়ক নামে ওই মহিলা বুধবার পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন। এরপর থেকেই তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে গ্রামবাসীরাই ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করেন। তাঁরাই অভিযোগ করেন যে, বাঘিনীতে নিয়ে গিয়েছিল ওই মহিলাকে। মহিলার দেহের একাংশের মাংসপিণ্ড উধাও, দেখে মনে হবে যেন কেউ খুবলে নিয়েছে।

আরও পড়ুন,মানুষখেকো বাঘিনীকে দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ বিষয়ে বনদপ্তরের সঙ্গে একমত শীর্ষ আদালত

এ ঘটনার জেরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। মহিলার মৃত্য়ুর প্রতিবাদে শ'খানেক গ্রামবাসী সাতকোসিয়া এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন। কয়েকজন বন আধিকারিককে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীদের একাংশ মারধর করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। বন দফতরের একটি সম্পত্তিতে তাঁরা আগুন লাগান বলেও অভিযোগ উঠেছে। এলাকার পাঁচটি নৌকাতেও আগুন লাগায় উত্তেজিত জনতা। শেষমেশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় ময়নাতদন্তের জন্য় ওই মহিলার দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। মহিলার দেহ আটকে রেখেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা।

এ ঘটনায় অবিলম্বে ওই বাঘিনীকে এলাকা থেকে অন্য়ত্র সরাতে হবে ও সেইসঙ্গে মৃতার পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এহেন দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসীরা। অন্য়দিকে, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে শেষমেশ ওই বাঘিনীকে যত তাড়াতাড়ি ফেরত পাঠানো যায়, সে ব্য়বস্থাই বন দফতর করছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন অঙ্গুল জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা। যদিও এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি ওড়িশা বন দফতরের আধিকারিকরা।

odisha national news
Advertisment