Advertisment

' চোখে লাগার মত কিছু কর', উদয়পুরে হত্যাকারীর কাছে নির্দেশ এসেছিল পাকিস্তান থেকে

মহম্মদ ঘাউস ও মহম্মদ রিয়াজ আতারি নুপুর শর্মার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভেও অংশ নিয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
udaipur murder case

উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে আগেই পাকিস্তান যোগ খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই উঠে আসছে নিত্যনতুন তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বেশ কিছুদিন ধরে দর্জি কানহাইয়ালাল তেলির ওপর হামলার পরিকল্পনা চালিয়েছিল অভিযুক্ত দুই দুষ্কৃতী। জুনের ১০ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল সেই পরিকল্পনা।

Advertisment

আর, এই পরিকল্পনা চালাতে ধৃত দুই হত্যাকারী মহম্মদ ঘাউস ও মহম্মদ রিয়াজ আতারিকে মদত দিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের জঙ্গিরা। তার মধ্যে এক পাকিস্তানি জঙ্গি হল সলমন ভাই। ওই জঙ্গি অন্যতম অভিযুক্ত মহম্মদ ঘাউসকে এই খুনের ব্যাপারে উসকেছিল। তাকে বলেছিল, 'শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে কিছু হবে না, চোখে লাগার মত কিছু কর'।

ইতিমধ্যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার হাত নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তদন্তে জানা গিয়েছে, মহম্মদ ঘাউস ও মহম্মদ রিয়াজ আতারি নুপুর শর্মার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভেও অংশ নিয়েছিল। তাদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণের সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা উদ্ধার করেছেন।

আরও পড়ুন- দেশজুড়ে দাপিয়ে বাড়ছে করোনা, মুম্বইয়ে সংক্রমণের বলি শিশুকন্যা

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মহম্মদ ঘাউস পাকিস্তানে গিয়েছিল। সেখানে অভিযুক্ত ঘাউস ৪৫ দিন ছিল দাওয়াত-ই-ইসলামির কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল। এই দাওয়াত ই ইসলামি পাকিস্তানের এক জঙ্গি সংগঠন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ঘাউস ভারতে ফেরে। তারপর সে নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দেয়। সেই গ্রুপেই সলমন ভাই ও আবু ইব্রাহিম নামে দুই পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে ঘাউসের নিয়মিত কথা হত।

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএর গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বাবলা ভাই নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে এই সময় ঘাউসদের পরিচয় হয়। সে-ও উদয়পুরের ধানমন্ডির বাসিন্দা। যে ধানমন্ডিতেই থাকতেন দর্জি কানহাইয়ালাল তেলি। ঘাউস জানিয়েছে, শুধু কানহাইয়ালাল না। বাবলা ভাই নামে ওই ব্যক্তি এরকম আরও ১২ জনকে চিহ্নিত করেছিল। যাদের ওপর হামলা চালানোর ভার আলাদা ব্যক্তিদেরকে দেওয়া হয়েছিল। ঘাউসদের মত ওই সব ব্যক্তিদেরও দায়িত্ব ছিল, ওই ১২ জনকে হত্যা করার।

Read full story in English

rajasthan pakistan Murder
Advertisment