জেলবন্দি দিল্লির আম আদমি পার্টির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে ম্যাসাজের ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়েছিল। কেজরিওয়ালের দলকে নিশানা করে পদ্ম শিবির। পাল্টা, আপ-এর দাবি ছিল, তিহাড় জেলে অসুস্থ বন্দি সত্যেন্দ্র জৈন। তাই পিজিওথেরাপিস্ট ডেকে মন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। কিন্তু সেই চাপানউতোরে এবার নয়া মোড়। তিহাড় জের কর্তৃপক্ষের দাবি, ভিডিওতে যাঁকে ফিজিওথেরাপিস্ট বলে দেগে দেওা হচ্ছে সে আসলে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক আসামি।
তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, 'সত্যেন্দ্র জৈনকে ম্যাসাজ প্রদানকারী ব্যক্তির নাম রিঙ্কু। সে ধর্ষণের মামলায় বন্দী, পকসো আইনের 6 নম ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৫০৬ এবং ৫০৯ ধারার অধীনে অভিযুক্ত।' রিঙ্কুর অপরাধ সংক্রান্ত মামলা (এফআইআর নং ১২১/২০২১) জেপি কালান থানায় দায়ের করা হয়েছে।
গত শনিবার সত্যেন্দ্র জৈনকে ম্যাসাজের ভিডিও সামনে আসতেই বিজেপি আপকে আক্রমণ করেছিল। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র আপ-কে 'স্পা এবং ম্যাসেজ পার্টি' বলে কটাক্ষ করেছিলেন। দাবি করেন, অর্থ তছরুপের মামলায় 'দুর্নীতিগ্রস্ত' কারাগারে বন্দী মন্ত্রীর সঙ্গে আপ জেলের মধ্যে ভিআইপি-র মতো আচরণ করছে। মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জেলের অভ্যন্তরে থেকে দুর্নীতিমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছেন এবং তাঁকে মন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করার দাবি ডানিয়েছিল বিজেপি।
অভিযোগের জবাবে, দিল্লির মন্ত্রী এবং আপ নেতা গোপাল রাই বলেছেন, 'অমিত শাহজি যখন গুজরাটে জেলে গিয়েছিলেন তার জন্য একটি বিশেষ সেল তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি সিবিআই রেকর্ডে রয়েছে। পৃথিবীর আর কোনও মানুষ কারাগারে এমন বিশেষ আচরণ পায়নি। কিন্তু সে পেয়েছে। বিষয়টি সত্যেন্দ্র জৈনের চিকিৎসার নয়। মূল ইস্যু হল যে দিল্লির জনগণ এমসিডি নির্বাচনে আপ-কে জয়ী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং বিজেপি ৪ঠা ডিসেম্বরের নির্বাচনে হারতে চলেছে। সে কারণেই এই সব ঘটছে।'
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বলেছেন, 'আমি ভাবতেও পারি না যে বিজেপি ভোট পাওয়ার জন্য এত নিচে নেমে গেছে। একজন অসুস্থ মানুষকে নিয়ে মজা করছে ওরা।" তিনি এটিকে গুজরাট এবং এমসিডি নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন এবং বলেছিলেন যে, 'বিজেপি হেরেছে, তাই তারা ভোট পাওয়ার জন্য এই জাতীয় ভিডিও এবং মিথ্যা ছড়াচ্ছে।' সূত্রের খবর, ফাঁস হওয়া সত্যেন্দ্র জৈনের ভিডিওটি চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের।