ভিনধর্মের যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখায়, শ্বাসরোধ করে পুড়িয়ে নিজের মেয়েকেই খুন করল বাবা। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উত্তরপ্রদেশে একের পর দলিত নিগ্রহের ঘটনা এর আগে সামনে এসেছে। এবার নিজের মেয়েকেই ভিনধর্মের যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা পুড়িয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করল বাবা।
হাড়হিম করা এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের শামলি গ্রামের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ভিনধর্মের এক যুবকের সঙ্গে বছর ১৮-এর তরুণীর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের তরফে বার বার বারণ করা সত্ত্বেও সেকথা কানে তোলেননি তিনি। এই নিয়ে মেয়েটির বাবার সঙ্গে এর আগেও তার বচসা হয়। উচ্চবর্ণের সম্ভ্রান্ত পরিবারের এক মেয়ে নিন্মবিত্ত ভিনধর্মের এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করছেন একথা কিছুতেই মানতে পারেননি বাবা।
এদিন মেয়েটি যুবকের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরতেই তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়ে বাবা-মেয়ে। সেই সময় শ্বাসরোধ করে পুড়িয়ে নিজের মেয়েকেই খুন করেন প্রমোদ কুমার। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। জেরার নিজের মেয়েকে খুনের কথা কবুলও করেছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, 'প্রমোদ গ্রামের উচ্চবর্ণ সম্ভ্রান্ত পরিবারের। তিনি তার মেয়েকে আগে থেকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। কারণ মেয়েকে এর আগেও ভিনধর্মের অজয় কাশ্যপের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেন তিনি। মেয়ে তা না শোনাতেই এই খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি'।
আরও পড়ুন: < কংগ্রেসেকে সামনে রেখেই বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক, গুঁটি সাজাচ্ছে বিরোধী শিবির >
“প্রমোদ জানান, কয়েকদিন আগে তার মেয়ে পরিবারকে না জানিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে বাড়ি থেকে চলে যায়। একদিন পর সে নিজেই বাড়ি ফিরে আসে। নিন্দা ও কলঙ্কের ভয়ে তিনি তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে কোন কাজের অজুহাতে মেয়েকে মাঠে নিয়ে যান। সে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি এবং তার শরীরে আগুন দেন”।
পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝলসানো কঙ্কাল উদ্ধার করে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং একটি ডগ স্কোয়াডও ডাকা হয়। এই ঘটনায় সেদিন সন্ধ্যাতেই জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করা হয় প্রমোদকে।