শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া! মুম্বই সংলগ্ন পালঘরে সামনে এল লিভ ইন পার্টনারকে খুনের ঘটনা। প্রেমিকাকে খুন করে বিছানায় দেহ লুকিয়ে পালিয়ে যায় প্রেমিক। খবর পেয়ে পুলিশ ট্রেন থেকে পলাতক অভিযুক্ত হার্দিককে গ্রেফতার করে। মুম্বাই সংলগ্ন পালঘরের তুলিঞ্জ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে দুজনেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে ‘লিভ-ইন’ রিলেশনে ছিলেন। ঠিক কী কারণে খুন? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে অভিযুক্তের নাম হার্দিক শাহ,
পুলিশ আরও জানায়, হার্দিক কোন কাজ করতেন না। সূত্রের খবর, মেঘার রোজগারেই থেকেই চলত সংসার খরচ। মেঘা পেশায় একজন নার্স এবং মেঘা-হার্দিকের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত বলেই জানিয়েছেন প্রতিবেশিরা। ঝগড়া্র জেরেই হার্দিক মেঘাকে খুন করে তার দেহ বিছানায় লুকিয়ে রাখে বলেই প্রতিবেশিদের ধারণা। এরপর ঘরের কিছু জিনিসপত্র বিক্রি করে পালিয়ে যায়। অ্যাপার্টমেন্ট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠিয়েছে এবং আইপিসির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। হার্দিককে মধ্যপ্রদেশের নাগদা থেকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধ দমন শাখার একটি দল অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
তিন বছর ধরে সম্পর্কে থাকা হার্দিক ও মেঘা গত ছয় মাস ধরে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন। প্রায় এক মাস আগে তারা একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।পুলিশ জানিয়েছে, তাদের প্রতিবেশীরাও তাদের ঘন ঘন ঝগড়ার অভিযোগ করেছেন।