শুক্রবার বড়সড় দুর্ঘটনা দিল্লি-কানপুর নীলাচল এক্সপ্রেসে। একজন যাত্রী কোচের কাচের জানালা ভেঙে ঢুকে আসা লোহার রডে বিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন। তাঁর ঘাড়ে লোহার রড ঢুকে গিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন রেলের এক আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর সেন্ট্রাল রেলের প্রয়াগরাজ ডিভিশনের দানওয়ার ও সোমনারের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। সকাল ৮টা ৪৫ নাগাদ ঘটেছে দুর্ঘটনাটি। আর এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মৃতের পরিবারের লোকজন।
শুক্রবার সকালে, হরিকেশ দুবে (৩২) তার বোনের বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লখনউ যাচ্ছিলেন। তার মধ্যেই ফুঁড়ে দিল লোহার রড, মৃত্যু হয় হরিকেশের। মৃতের ভাই গৌরব ত্রিপাঠি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, দাদাই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। দাদার মৃত্যুতে পরিবারের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারের মুখে। স্ত্রী, ছয় বছরের মেয়ে এবং চার বছরের ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা সকলেই এখন চিন্তিত।
পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন প্রাথমিক ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হয়েছে ১৫,০০০ টাকা। গৌরব বলেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে হরিকেশের সন্তানদের ভবিষ্যৎ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। রেল প্রাথিমকভাবে ১৫,০০০ টাকা অফার করেছে। আমরা তাদের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছি। বাবা আজ তার মরদেহ গ্রামে নিয়ে যেতে এসেছেন, কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতক্ষণ না রেলের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং আমাদের পরিবার বিচার না পাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা শেষকৃত্য করব না।”
গৌরব যোগ করেছেন, "যেভাবে দাদার মৃত্যু হল, জানালার ধারে সিটে বসে থাকা অবস্থায় লোহার রড বিঁধে যেভাবে দাদা মারা গেল...তা খুনের সমান।"এদিকে এই ঘটনায় জিআরপির এক কর্তা বলেন, পাশের লাইনে কাজ চলছিল, কোন কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে”।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়মমাফিক মৃতের পরিবার এই দুর্ঘটনার জেরে রেলের থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবে। ঘটনার জেরে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। পাশাপাশি, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর অভিযোগও দায়ের হয়েছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে একাধিক রেলকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। এদিকে এই ঘটনায় উত্তর মধ্য রেলওয়ের একজন মুখপাত্র টুইট করে জানিয়েছেন ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানো হবে। "রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মৃত যাত্রী হরিকেশ কুমার দুবের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন”।...