Advertisment

একমাস পর 'অজানা কারণে' মৃত্যু হল মাঝেরহাটে ব্রিজ দুর্ঘটনায় আহতের

গত বৃহস্পতিবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বছর ৫৫-র বাসিন্দা জামিল হানিফকে। ঘটনার দিন বেহালা থেকে ফিরছিলেন তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
majherhat cover

মাঝেরহাট ব্রিজ দুর্ঘটনায় ফের বাড়ল মৃতের সংখ্যা।

মাঝেরহাট ব্রিজ দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে এক মাস। কিন্তু বাড়ল মৃতের সংখ্যা। গত বৃহস্পতিবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বছর ৫৫-র বাসিন্দা জামিল হানিফকে। ব্রিজ দুর্ঘটনায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন জামিল। তবে ঠিক কী কারণে প্রায় একমাস পর তাঁর মৃত্যু হল তা এখনও জানা যায় নি।

Advertisment

এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "ঘটনার দিন বেহালার ওষুধের দোকান থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন হানিফ। ব্রিজ দুর্ঘনটনায় তাঁর শরীরের একাধিক অংশ গুরুতর চোট পায়, সেই অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয় তাঁকে।'' এদিন সঙ্গে সঙ্গেই একবালপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় জামিলকে।

আরও পড়ুন: মাঝেরহাট ব্রিজ দুর্ঘটনা নিয়ে চাপানউতোর অব্যাহত, তদন্তে সিট গঠন পুলিশের

মৃতের ভাই শাকিল বলেন, ''৪ সেপ্টেম্বর দুর্ঘটনায় জামিল কোমরের নীচের অংশে ভেঙে যায়। প্রায় সারে চার ঘণ্টা ধরে একটি অস্ত্রোপচারও হয় এদিন। ১৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় জামিলকে। এরপর ৪ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হঠাৎই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন, শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয় দাদাকে।''

শাকিল আরও জানান, ''সরকারের তরফ থেকে ৫০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে জানিফের পরিবার, পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসার সমস্ত খরচও বহন করেছে সরকার।'' তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে বছর ৫৫-র ওই ব্যক্তির, তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক যুবকের। পরে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আরও দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়। ওই দু’জনেই মেট্রো রেলের ঠিকা শ্রমিক ছিলেন। সব মিলিয়ে মাঝেরহাট ব্রিজ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার।

Bridge Collapse
Advertisment