শ্রদ্ধা ওয়ালকারের মৃত্যুর ঘটনা রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নৃশংস হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। পূর্ব দিল্লির পাণ্ডব নগর এলাকায় এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, হত্যার পর স্ত্রী ও ছেলে মিলে দেহ টুকরো টুকরো করে একটি ফ্রিজে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে দেহাংশগুলি কোন ফাঁকা জায়গায় ফেলে আসত।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, 'পাণ্ডব নগর খুনের ঘটনায় অঞ্জন দাসের স্ত্রী পুনম ও ছেলে দীপককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মা-ছেলে মিলে অঞ্জন দাসকে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে হত্যা করে। এরপর মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রাখে। সুযোগ বুঝে রাতেই দেহাংশগুলি বাইরে ফেলে আসত মা ছেলে। ইতিমধ্যে বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ব্যবহৃত ফ্রিজও।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন মাসে অক্ষরধাম মন্দিরের কাছে পাণ্ডব নগরে বাসিন্দা অঞ্জন দাসকে খুন করে তার স্ত্রী ও ছেলে। দিল্লি পুলিশ, পাণ্ডব নগরের কাছে রামলীলা মাঠের কাছেই মৃতদেহের টুকরো খুঁজে পাওয়ার পরে তদন্তে নামে। পুলিশ জানায়, অঞ্জন দাসের মাদকাসক্তি ও অবৈধ সম্পর্কের জেরেই তাঁকে খুন করা হয়।
তদন্তে জানা গিয়েছে, অঞ্জনের স্ত্রী পুনম ও তাঁর ছেলে দীপক এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ। নিহত অঞ্জন দাসকে মাদক জাতীয় বড়ি খাইয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। অবৈধ সম্পর্কের জেরে অঞ্জন দাসকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের
উল্লেখ্য, দিল্লিতে কিছুদিন আগেই একই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে। আফতাব দিল্লির ছাতারপুর এলাকায় তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং পরে তার দেহকে ৩৫ টুকরো করে ফেলে। আফতাবও শ্রদ্ধার দেহাংশগুলি ফ্রিজে ভরে রেখে পরে বিভিন্ন এলাকায় তা ফেলে দেয়। শ্রদ্ধা হত্যা মামলার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আজ ফের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হচ্ছে আফতাবের।