পুলিশের জালে ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের এক প্রাক্তন আধিকারিক। স্ত্রী কে খুনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই আধিকারিকের স্ত্রী দিল্লি হাই কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। অপরাধের পরে স্টোর রুমের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয় স্ত্রীর মৃতদেহ। জানা গিয়েছে প্রাক্তন ওই আধিকারিকের নাম নীতিন সিনহা । রবিবার নয়ডায় খুন দিল্লি হাইকোর্টের আইনজীবী রেনু সিনহা। বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয় তার মৃতদেহ। ঘটনার পর থেকেই মহিলা স্বামী পলাতক ছিলেন। সোমবারই ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের এক প্রাক্তন আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার, নয়ডায় অভিজাত এলাকায় বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয় বছর-৬১-এর মহিলার মৃতদেহ। মহিলার ভাইয়ের দেওয়া খবরের ওপর ভিত্তি করে নয়ডা পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মহিলাকে খুন করা হয়েছে এবং তাঁর স্বামী পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা দিল্লি হাইকোর্টের আইনজীবী ছিলেন।
তথ্য অনুযায়ী, বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মহিলার মৃতদেহ। ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফরেনসিক দল ও ডগ স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ জানিয়েছে মৃত মহিলার নাম রেনু সিনহা। নয়ডা পুলিশ গতকালই মহিলার স্বামীর খোঁজে একটি দল গঠন করে। অন্যদিকে, ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করেছে।
নয়ডা পুলিশ জানিয়েছে যে রেনু সিনহার ভাইয়ের কাছ থেকে আমরা একটি ফোন পাই। তিনি জানান, গত দুই দিন ধরে তার দিদিকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করছেন না। এরপরই পুলিশ রেনু সিনহার ভাইয়ের দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় তার মৃতদেহ। স্বামীর খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। এরপরই সাফল্য পেল নয়ডা পুলিশ।
মৃত রেনু সিনহার ভাই বলেন, বোনের মৃত্যুতে আমি মর্মাহত । তিনি জানান, রেনু সিনহা দিল্লি হাই কোর্টের একজন আইনজীবী ছিলেন। তার স্বামী ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের এক প্রাক্তন আধিকারিক। ছেলে মানব গৌতম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রেনু সিংগাল ও তার স্বামীর মধ্যে প্রায়ই নানান কারণে বিবাদ লেগেই থাকত।