Advertisment

কালাজাদুর আছিলায় নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ, ঘরের কোণে রাখা ছেলের মোবাইলে ভিডিও ফাঁস!

মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
black magic’

কালাজাদুর আছিলায় নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে এক বৃদ্ধকে। জানা গিয়েছে ৬৮ বছরের ওই বৃদ্ধ দিনের পর দিন নানান আছিলায় নাবালিকার ওপর চালাত পাশবিক অত্যাচার। সেই সঙ্গে ঘটনার কথা কাউকে না জানানোর জন্য রীতিমত হুমকিও দেওয়া হত ওই নাবালিকাকে। মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে এবং নাবালিকার কাছ থেকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এপ্রিলে একাধিক বার বৃদ্ধ তার প্রতিবেশী নাবালিকাকে যৌন নিপীড়ন করেন বলে অভিযোগ।  বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে যখন অভিযুক্তের ছেলে নির্যাতিতার বাবাকে একটি ভিডিও পাঠায়। সেই ভিডিও দেখেই বাবা মেয়ের যৌন হেনস্থার কথা জানতে পারেন এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।  

Advertisment

এই ঘটনায় অভিযুক্তের ছেলের বিরুদ্ধেও অশ্লীল ভিডিও প্রেরণের দায়ে মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে বাবাকে কালা জাদুর নামে কিছু কূকর্ম করছেন এমন আঁচ পেয়েই ছেলে বাবার ঘড়ে মোবাইলে ক্যামেরা অন করে লুকিয়ে রাখে। এরপরই বাবার কুকীর্তি ফাঁস হয়। মোবাইলে রেকর্ডিংয়ে মেয়েটিকে দেখেই চিনতে পেরে ভিডিওটি তার বাবার কাছে পাঠায় ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, “অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতার পরিবার খুব ঘনিষ্ঠ ছিল। অতীতেও নাবালিকাকে একাধিকবার যৌন হেনস্থা করেছিল ওই বৃদ্ধ। ঘটনার দিন তিনি নির্যাতিতাকে কোন এক অজুহাতে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন”। এর পর নির্যাতিতা ওই তরুণীকে কাউকে কিছু না জানানোর জন্য ভয়ও দেখান ওই বৃদ্ধ। নির্যাতিতা মেয়েটির বাবা মঙ্গলবার সকালে একটি অজানা নম্বর থেকে একটি ভিডিও পান, যেখানে তিনি দেখতে পান তার মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। যৌন নিপীড়নের অভিযোগে POCSO ধারায় বৃদ্ধের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

এবিষয়ে সিনিয়র এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, "আমরা অভিযুক্তের ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি জানিয়েছেন, বাবার "সন্দেহজনক কার্যকলাপ" দেখে বিরক্ত ছিলেন তিনি এবং সন্দেহ করেছিলেন বাবা কিছু কুকর্ম ঘটাতে চলেছিলেন। সেই ধারণা থেকে ঘরের এক কোণে মোবাইল রেখে সাবধানে কাপড় দিয়ে সেটি ঢেকে রাখেন যাতে তার বাবা ভিতরে থাকা অবস্থায় মোবাইলটি দেখতে না পায়। কয়েক সপ্তাহ পরে, অভিযুক্তের ছেলে তার ফোনে ব্রাউজ করার সময় ভিডিওটি দেখেন এবং বুঝতে পারে যে নাবালিকা তার প্রতিবেশী। তিনি অবিলম্বে ফুটেজটি তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দেন”। জানা গিয়েছে “অভিযুক্তের স্ত্রী বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান এবং তিনি তার অবিবাহিত ছেলের সঙ্গেই থাকতেন।  পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় অন্য একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি নাবালিকার পরিবারকে পুলিশের কাছে যেতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।

Delhi Police
Advertisment