মন্দির চত্বরে হনুমানজিকে অবমাননার ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষোভ। এর মাঝেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মন্দির চত্ত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সলংপুর হনুমান মূর্তি নিয়ে বির্তকের মাঝেই দেওয়ালে ভগবান স্বামীনারায়ণের পায়ের কাছে বসে ভগবান হনুমানকে খোদাই করা চিত্রগুলিকে বিকৃত ও ভাংচুর করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
সলংপুর হনুমান মূর্তি নিয়ে বিতর্ক কী?
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে, বোটাদ জেলায় অবস্থিত শ্রীকষ্টভঞ্জন হনুমানজি মন্দির কমপ্লেক্সে বজরং বালির একটি ৫৪-ফুট লম্বা মূর্তি স্থাপন করা হয়। হনুমান জয়ন্তীতে এই মূর্তি উন্মোচন করা হয়। ২০ আগস্ট, জামনগরের এক যুবক সালংপুরে হনুমান মন্দিরে যান। সেখানে তিনি ৫৪ ফুট লম্বা মূর্তির নিচে তৈরি একটি পেইন্টিং দেখেন। এতে দেখা যায় হনুমান জি এক মুনি ঋষির সামনে প্রণাম করছেন।
সালংপুর থেকে ফেরার সময় যুবক তার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। এর পরই গোটা ঘটনায় আগুন ধরে যায়। হনুমানকে অপমান করা হয়েছে, রাখীর আগে এই বিতর্ক মিডিয়ার শিরোনামে এসেছিল। বিতর্কে মোরারি বাপুর প্রতিক্রিয়ায়, বিতর্কের পরিধি আরও বেড়ে যায়। এর পর আহমেদাবাদের জগন্নাথ মন্দিরের মহন্ত দিলীপ দাসের সঙ্গে শারদাপীঠের শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতীর বক্তব্যও এসেছে। হনুমানের অপমানের নিন্দা জানিয়েছে সকলেই। বিতর্ক সত্ত্বেও স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বিতর্কিত ছবিগুলি এখন পর্যন্ত সরানো হয়নি। চলতি বছরের এপ্রিলে এই মন্দিরে হনুমান মূর্তি উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এরপরই গতকাল ওই মুর্তির চারপাশে খোদাই করা চিত্রগুলিকে ভেঙে ফেলতে উদ্যত হন এক যুবক। বোটাদের পুলিশ সুপার কিশোর বাবলোইয়া বলেছেন, “মূর্তিটি ব্যারিকেড করা হয়েছে তবে লোকেরা দর্শনের জন্য একদিক থেকে মূর্তির কাছে যেতে পারেন। মূর্তির কাছে পার্কিং লট ও বাগান রয়েছে। লোকটি বাগানের দিক থেকে মূর্তির দিকে যেতে সক্ষম হয়েছিল, পুলিশ কর্মীরা তাকে ধরার আগেই সে কিছু চিত্রে সেই কালি লেপে দেয় ও ভাংচুর করে।”সেই সঙ্গে তিনি বলেন ওই ব্যক্তির উদ্দেশ্য কী ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।