গোরক্ষপুর মন্দিরে জোর করে ঢুকতে চেষ্টা করায় ধৃত যুবক আইআইটি বম্বের স্নাতক। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনটাই জানা গিয়েছে। রবিবার রাতে কাস্তে হাতে ওই ব্যক্তি গোরক্ষপুর মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত ব্যক্তির নাম আহমেদ মুর্তাজা। বয়স ২৯ বছর। পুলিশ তাকে বাধা দিলে তিনি কাস্তে হাতে পুলিশের দিকে তেড়ে যান। পালটা পুলিশকেও তাঁর দিকে ইট ছুড়তে দেখা গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাঁকে নিরস্ত করে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত মুর্তাজাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিত্সাধীন।
গোরক্ষপুর মন্দিরের প্রধান মোহন্ত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়ার আগে মুর্তাজা ধর্মীয় স্লোগানও দেন। পুলিশ একটি ব্যাগও উদ্ধার করেছে। সম্ভবত, সেটি মুর্তাজারই ব্যাগ। ওই ব্যাগ থেকে একটি পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ এবং কাস্তে পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে প্যান কার্ড, আধার কার্ড এবং মোবাইল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বাড়ি থেকে কাজে যাওয়ার নাম করে বেরোলেও মুর্তাজা আর ফেরেননি। এরপরই সোমবার খবর পাওয়া যায়, তিনি রবিবার রাতে কাস্তে হাতে গোরক্ষপুর মন্দিরে জোর করে প্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মুর্তাজা তাঁর বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। বম্বে আইআইটি থেকে তিনি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাশ করেছেন। তাঁর বাবা মুনির আহমেদ মুম্বইয়ে আইনি পরামর্শদাতা সংস্থায় কাজ করতেন। গত বছর তিনি গোরক্ষপুরে ফিরে আসেন। মুর্তাজাও মুম্বইয়ে এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। গত বছর সেখান থেকেই কাজ খুইয়ে তিনি ফিরে আসেন। তারপর থেকে তিনি এখানেই থাকছেন। তিনি বিয়েও করেছিলেন। কিন্তু, কয়েক মাস আগে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে। মুর্তাজার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে মুম্বই পুলিশের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গোরক্ষপুর জোনের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অখিল কুমার।
Read story in English