দিন কয়েক আগেই দিল্লিতে এক মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সন্ধান মিলতেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত তৎপরতা। বিমানবন্দর গুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এর মাঝেই হিমাচলের সোলান জেলায় এক ব্যক্তির শরীরে দেখা দিয়েছে মাঙ্কিপক্স উপসর্গ। শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে ‘সোলান জেলায় এক ব্যক্তির দেহে দেখা দিয়েছে মাঙ্কিপক্স উপসর্গ।
ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে। শুরু হয়েছে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের কাজও। বড্ডি এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির দেহে বেশ কিছুদিন আগেই মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এবং আশেপাশের এলাকায় নজর রাখার কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে জানান হয়েছে ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণের কোন ইতিহাস নেই। তাহলে কীভাবে ওই ব্যক্তির দেহে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
আরও পড়ুন: <‘মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে’, রাষ্ট্রপত্নী বিতর্কে প্রেসিডেন্ট মুর্মুর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা অধীরের>
যদিও স্বাস্থ্য দফতরের এক সিনিয়র আধিকারিক জানান, ‘নমুনার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’। এখনও পর্যন্ত দেশে চারটি মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে তিনজন কেরল এবং একজন দিল্লির বাসিন্দা। কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার লোকসভায় এই তথ্য পেশ করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে বিমানবন্দরগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। কোভিড মোকাবিলায় যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, মাঙ্কিপক্স রোধে বিদেশফেরত যাত্রীদের ক্ষেত্রেও তেমন বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর মোট ৭৫টি দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ। সম্প্রতি এই রোগ ধরা পড়ে যুক্তরাষ্ট্রে, গত ৭ মে। মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের প্রথম খোঁজ মিলেছিল ১৯৫৮ সালে। ১৯৭০ সালে কঙ্গোতে প্রথমবার মানবদেহে এ ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া যায়। ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে এই ভাইরাসের খোঁজ মেলে। কিন্তু এভাবে গোটা বিশ্বজুড়ে এর আগে মাঙ্কিপক্স দাপট দেখায়নি। বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। স্বভাবতই মাঙ্কিপক্স নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক।