/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/delhi-lead.jpg)
উত্তর দিল্লির এই মন্দির মসজিদ মার্গ এলাকায় তখন সমন্বয় চিত্র। একত্রিত হয়ে চলছে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লড়াই।
মৌজপুরে তখন সবে শুরু হয়েছে অশান্তি। খবর পৌঁছতেই নূর-ই-ইলাহির সমস্ত বাসিন্দা সর্তক হয়ে পড়লেন। উত্তর দিল্লির এই মন্দির মসজিদ মার্গ এলাকায় তখন সমন্বয় চিত্র। একত্রিত হয়ে চলছে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লড়াই।
দিল্লির হিংসায় একাধিক অশান্ত চিত্র যেমন সামনে এসেছে, তেমনই মন্দির মসজিদ মার্গে উঠে আসল গণতান্ত্রিক দেশের ঐক্যের চিত্র। একটাই গলি। মসজিদের অনতিদূরেই একটি মন্দির। অশান্তির উত্তাপের রেশ টের পেতেই মন্দির আগলালেন মুসলিমরা, হিন্দুরা পাহারা দিলেন মসজিদ। কয়েক দশক ধরেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক নিদর্শন হিসেবে গড়ে উঠেছিল এই মন্দির মসজিদ মার্গ। পাশাপাশি রয়েছে আজিজিয়া মসজিদ এবং হনুমান মন্দির। রবিবার এলাকায় পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হতেই বৈঠকে বসেন এলাকার বর্ষীয়ান নাগরিকরা। একসঙ্গে ঠিক করেন হিংসা নয়, পারিপার্শ্বিক অবস্থা যাই হোক না কেন এতদিন যেভাবে ছিলেন, এখনও তেমনভাবেই থাকবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বাধ্য জখম যুবকের মৃত্যু
এলাকার বাসিন্দা ফয়জান বলেন, "আমাদের এই অঞ্চলে হিন্দু-মুসলমানের কোনও বিভেদ নেই। আমাদের শৈশব মন্দির এবং মসজিদেই কেটেছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার কিছুক্ষণ পরে, এক দল জনতা মন্দিরের পাশ থেকে গলিতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। উভয় উপাসনালয়ে আক্রমণ করতে চেয়েছিল তাঁরা। তবে আমরা প্রতিরোধ করেছি।" ওই এলাকারই বাসিন্দা সুনীল কুমার বলেন, “আমাদের একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রয়েছে। অনেকেই আহত হয়ে আমাদের এলাকায় আসেন চিকিৎসার জন্য। আমরা তাঁদের সুস্থ করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এসেছি। আমাদের এই সম্প্রীতি আগামীতেও একই থাকবে"।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে,পড়তে থাকুন