অরুণিমা কর্মকার
আম্রপালি, মল্লিকা, লক্ষনভোগ, কোহিতুর। চেনা লাগছে কি নামগুলো? উত্তর যদি না হয়, অবশ্যই ঢুঁ মারতে হবে নিউটাউন মেলা প্রাঙ্গনে আয়োজিত বেঙ্গল ম্যাঙ্গো উৎসব ২০১৮ তে, যা চলবে ৮ থেকে ১০ জুন অবধি, দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে শুরুতে যে নামগুলো পড়লেন, সেগুলো বিভিন্ন রকম আমের নাম। সেই আম, যা গ্রীষ্মকালে আমাদের প্রাণের আরাম, আত্মার শান্তি।
হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি আমের স্বাদের সঙ্গে পরিচিত সকলেই। কিন্ত 'আরও একটু বেশি পেলে ক্ষতি কী'? অতএব ম্যাঙ্গো উৎসব, সৌজন্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ এবং হর্টিকালচার দফতর, সহযোগিতায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স।
বাঁকুড়ার আম্রপালি এবং মল্লিকা, হুগলির রাজভোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোপালভোগ, মুর্শিদাবাদের হিমসাগর প্রদর্শিত হবে ম্যাঙ্গো উৎসবে। তবে শুধু আম নয়, থাকবে আমের তৈরি মিষ্টিও। আমসত্ত্ব থেকে শুরু করে আমের আচার, সবই পাওয়া যাবে এই মেলায়। আমের দাম চলতি বাজারমুল্যের থেকে কম হবে বলেই জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধি। যে আম বর্তমানে বাজারে আর পাওয়া যায় না, সেই আমেরও দেখা মিলবে এই মেলায়। ইচ্ছা হলে চেখে দেখতেও পারবেন রসালো আম। কিছু জাতের আমের দাম একটু চড়া হতে পারে, তবে তা যে খুব ভয়ঙ্কর দামী হবে এমনটাও নয়।
আম নষ্ট যাতে না হয়ে যায় তার জন্য আলাদা করে স্টোরেজের ব্যবস্থা থাকবে মেলা প্রাঙ্গনে। ৮ জুন চলবে একচেটিয়া বেচা কেনা। সূত্রের খবর, এদিন সিঙ্গাপুর, দুবাই, সৌদি আরব, নেপাল, ভুটান থেকে ক্রেতারা আসবেন। পশ্চিমবঙ্গের আমচাষীদের থেকে সরাসরি আম কিনে নিয়ে যাবেন এই আন্তর্জাতিক ক্রেতারা। আমচাষীরা তাঁদের পসরা নিয়ে আসবেন মেলায়, বিক্রিতে সাহায্য করার জন্য থাকবেন হর্টিকালচার অফিসার। আদান প্রদানের মাঝে কোনো তৃতীয় ব্যক্তি থাকবেন না। চাষীদের সঙ্গে সরাসরি বেচাকেনা চলবে ক্রেতাদের।
তবে দিনের শেষে, এই মেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষনগুলির মধ্যে একটি অবশ্যই কোহিতুর আম। গতবছরও মেলাতে একটি কোহিতুর আমের দাম ছিল ১,২০০ থেকে ১,৫০০ টাকা। সেই দাম এবছর কত হতে পারে তা নিয়ে এখনই কিছু জানা যায়নি। মনের এবং পকেটের জোর থাকলে খেয়ে দেখবেন নিশ্চয়ই!