'পাকিস্তানে জন্ম। আশ্রয়ের জন্য ভারতে আসা। পরিচয়পত্র হিসাবে কী প্রমাণ দেব? এরপর কোথায় যেতে হবে জানি না।' যন্তর মন্তরে সিএএ বিরোধীতায় বিক্ষোভের মাঝেই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার। এরপরই সুর চরিয়ে তিনি বললেন, 'নিজের পরিচয় আমাকে কেন প্রমাণ করতে হবে?'
মণিশঙ্কর আইয়ারের আশঙ্কা, 'দেশে মুসলমানদের বিপদে ফেলতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন করা হয়েছে।' তবে তাঁর স্বস্তি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা তা বুঝতে পেরেছে। পড়ুয়াদের আন্দোলের প্রভাব ইভিএমে পড়বে বলে মনে করেন আইয়ার। তাঁর কথায়, 'নতুন এই আইনের পিছনে কি উদ্দেশ্য রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা তা ভাল করেই বুঝতে পারছে। ফলে তাদের ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এই আওয়াজ সংসদে পৌঁছাবে, এর প্রতিফলন ঘটবে ভোটেও।'
Watch: Congress leader Mani Shankar Aiyar present at Jantar Mantar during the #CAAProtest asks what proof of identity will he show as he was born in Pakistan.
For more on the #CAAProtests
follow LIVE here: https://t.co/HkAcwhDfzG pic.twitter.com/uTcXmVG2IM— The Indian Express (@IndianExpress) December 19, 2019
রাজধানীর বুকে যন্তর মন্তর সহ একাধিক জায়গায় সিএএ বিরধী আন্দোলন চলে।তাতেই অংশ নিয়েছিলেন মণিশঙ্কর আইয়ার। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ঐতিহাসিক আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম, আমি এটা ভেবেই খুব খুশি আমি। এটা আমি আমার নাতি-নাতনিদের বলতে পারব। আমি বলতে পারব, মোদী-শাহ সাম্রাজ্যের পতনের সূচনা করেছিল যে আন্দোলন, তাতে আমি অংশ নিয়েছিলাম।'
আরও পড়ুন: আসামে চালু হলেও উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটকের বিস্তীর্ণ অংশে বন্ধ নেট পরিষেবা
বূৃহস্পতিবার দেশজুড়ে এনআরসি ও সিএএ বিক্ষোভ প্রবল হয়। দিল্লির পাশাপাশি তা একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদীদের আটকাতে রীতিমত বেগ পেতে হয় পুলিশকে। লালকেল্লা, মান্ডি হাউস এলাকায় বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করেছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু বেলা গড়াতেই দেখা যায় অশান্তির আগুন ছড়িয়েছে সর্বত্র। লালকেল্লা চত্বরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের। লালকেল্লার সামনে থেকে আটক করা হয় বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজকর্মী থেকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে। বিকেলের দিকে প্রতিবাদ মিছিল সরে আসে যন্তর মন্তরের কাছে। সেখানেও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দেখা গেছে বড় জমায়েত।
এরই মাঝে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহর লখনউতে গুলিতে প্রাণ গিয়েছে এক প্রতিবাদীর। উপকূলীয় কর্নাটকের মেঙ্গালুরুতে নিহত হয়েছেন দুই বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভের আঁচ দেখা গিয়েছে, আমেদাবাদ, হায়দরাবাদ সহ দেশের বেশিরভাগ বড় শহরেই।
Read the full story in English