ফের মৃত্যু। নতুন করে হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। সোমবার চুরাচাঁদপুর জেলায় গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। চুরাচাঁদপুরের পুলিস সুপার কার্তিক মাল্লাদি জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে। নিহতের নাম এন মুয়ানসাং, বয়স ২২। এদিকে মেইতি এবং কুকি-সম্প্রদায়ের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে গঠিন শান্তি কমিটিতে তারা অংশ নেবেন না। ফলে রাজ্যে শান্তি ফেরা প্রায় বিশবাঁও জলে।
মণিপুর হিংসায় ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। মে মাসের শুরুতে মণিপুরে জাতিগত হিংসা শুরু হয় সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে পাশাপাশি ৫০হাজার মানুষ গৃহহীন। সরকারের তরফে মোট ৩৪৯ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
রাজ্যের তথ্য ও জনসংযোগ মন্ত্রী ডঃ আর কে রঞ্জন বলেছেন, সমস্ত জেলায় বিশেষ করে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৯৯০টি অস্ত্র ও ১৩ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
সরকারী রিপোর্টের উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যে জেলা এবং ক্লাস্টার নোডাল অফিসারদের মহিলা, শিশু এবং বয়স্কদের জন্য খোলা ত্রাণ শিবিরগুলি তদারকি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে অবস্থিত মোট ২৪২টি ব্যাঙ্ক শাখার মধ্যে ১৯৮টি এখন পর্যন্ত চালু হয়েছে। একই সঙ্গে বাকি শাখাগুলিও শীঘ্রই খুলে দেওয়া হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি রোধ করতে রাজ্যের তরফে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জনগণকে তাদের অস্ত্র সমর্পণের আবেদন জানিয়েছেন। মণিপুরে হিংসার ঘটনায় একাধিক থানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র লুট হয়েছে বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৯৯০টি অস্ত্র ও ১৩,৫২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে রাজ্যে হিংসার ঘটনার কথা মাথায় রেখে ইন্টারনেট পরিষেবা আরও ৫ দিন স্থগিত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা ১৫ জুন বিকেল ৩টে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে দশ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।