হাইকোর্টের নির্দেশে মণিপুরে সংঘর্ষ! প্রকাশ্য সভায় মণিপুর হিংসা নিয়ে মুখ খুললেন অমিত শাহ। অসমে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, মণিপুরের ঘটনায় সবাই ন্যায়বিচার পাবে। মণিপুর হাইকোর্ট এক নির্দেশে রাজ্য সরকারকে মেইতি সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে একটি সুপারিশ জমা দিতে বলে।
মণিপুর হাইকোর্টের যে রায়কে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত, সুপ্রিম কোর্টেও সেই রায় গুরুতর প্রশ্নের মুখে পড়ে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় হাইকোর্টের রায় ঘিরে বিস্ময় প্রকাশ করেন। কোনও জাতি সম্প্রদায়কে উপজাতি ভুক্ত করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত। বিচারপতি কীভাবে সরকারকে বলতে পারেন কোনও সম্প্রদায়কে সিডিউলড কাস্ট হিসাবে স্বীকৃতি দিতে? এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় হাইকোর্টের আদেশ। সেই একই সুর শোনা গেল অমিত শাহের গলাতেই।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৃহস্পতিবার মণিপুরে শান্তি বজায় রাখার জন্য জনগণের কাছে আবেদন করে বলেছেন যে তিনি শীঘ্রই তিন দিনের সফরে অশান্তি কবলিত মণিপুরে যাবেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ ন্যায়বিচার যাতে পায় তার জন্য মোদী সরকার নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছে। এর আগে কংগ্রেস অমিত শাহকে নিশানা করে বলে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গুয়াহাটিতে যাওয়ার সময় আছে, কিন্তু ২২ দিন ধরে জ্বলছে মণিপুর। সেখানে যাওয়াকে তিনি গুরুতর বলে মনে করেন না।
অসমে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনটি কর্মসূচিতে অংশ নিতে অমিত শাহ এক দিনের সফরে অসমে যান। শাহ এদিন এক সমাবেশে মণিপুরের হিংসার ঘটনা টেনে এনে বলেন, "আমি শীঘ্রই মণিপুরে যাব এবং সেখানে তিন দিন থাকব, তবে তার আগে সব দলেরই রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে কাজ করা উচিত,"। শাহ বলেন, 'কেন্দ্র নিশ্চিত করবে রাজ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় যাতে সকলে ন্যায়বিচার পায়"।
হিংসা কবলিত পার্বত্য রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ২৯ মে তিন দিনের মণিপুর সফরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। রাই বলেন, 'আমরা বিভিন্ন জায়গায় মানুষের সঙ্গে কথা বলব এবং তাদের মতামত শুনব'। তিনি আরও বলেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা ও অস্থিরতা উন্নয়নকে বাঁধা দিচ্ছে। সকল সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা হবে এবং জনগণকে সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে হবে এবং সব ধরনের হিংসা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে'।