/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/10/culprits-arrested.jpg)
ইম্ফলে জুলাই মাসে অপহৃত দুই যুবকের হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল মণিপুর, পাহারা দিচ্ছেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। (পিটিআই)
রবিবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং বলেছেন যে দুই মেইতেই যুবকের হত্যার ঘটনায় বেশ কয়েকজন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে মণিপুর সরকার অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে। এই ব্যাপারে বীরেন সিং সামাজিক মাধ্যম এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ লিখেছেন, 'আমি আনন্দিত যে ফিজাম হেমানজিৎ এবং হিজাম লিনথোইঙ্গাম্বির অপহরণ ও হত্যার জন্য দায়ী কিছু প্রধান অপরাধীকে আজ চুরাচাঁদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'
I’m pleased to share that some of the main culprits responsible for the abduction and murder of Phijam Hemanjit and Hijam Linthoingambi have been arrested from Churachandpur today.
As the saying goes, one may abscond after committing the crime, but they cannot escape the long…— N.Biren Singh (@NBirenSingh) October 1, 2023
সম্প্রতি ইম্ফলের বাসিন্দা হিজাম লিন্থোইঙ্গামি (১৭) ও ফিজাম হেমজিত (২০)-এর মৃত্যু ঘটে। গত ৬ জুলাই ওই দুই যুবক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। সেপ্টেম্বরে এই ঘটনার বিষয়ে দুটি ছবি প্রকাশিত হয়। তার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পার্বত্য রাজ্য মণিপুর। ছবি দুটির একটিতে দেখা যায় যে দুই যুবক পাশাপাশি বসে আছে। তাঁদের পিছনে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে এক ব্যক্তি। আর, পিছনের জায়গাটা সবুজ বা জঙ্গল দিয়ে ঘেরা। আরেকটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, দুই যুবক পাশাপাশি পড়ে আছেন। তার মধ্যে এক যুবকের (হেমজিত) মুণ্ড নেই।
ছবিগুলো সামনে আসার পরে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় একটি বিবৃতি জারি করে জানায় যে মামলাটি ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মেইতিদের এসটি মর্যাদার দাবিতে সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। কুকি-জোমি এবং মেইতেই উপজাতিরা পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মে মাসে শুরু হওয়া এই জাতিগত সংঘাতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন আরও অনেক মণিপুরবাসী।
আরও পড়ুন- কেসিআরের মাটিতেই রণহুংকার মোদীর! কার বিরুদ্ধে তুললেন একের পর এক অভিযোগ?
সেই উত্তাপ যখন ধীরে ঠান্ডা হচ্ছিল, তখনই ছবি দুটো ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় পার্বত্য রাজ্যে। যার জেরে সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, ব্যাপক নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয় গোটা উপত্যকাজুড়ে। মাত্র ১৯টি থানা এলাকা ছাড়া পার্বত্য রাজ্যের অন্যত্র সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ আইন আফস্পা জারি করা হয়।