Advertisment

মণিপুরে ভুয়ো সংঘর্ষ, ফের শীর্ষ আদালতে হাজিরা দিতে হবে সিবিআই প্রধানকে

‘‘সিবিআইয়ের বক্তব্যানুযায়ী মণিপুরে অন্তত চারজন খুনি খোলা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ জিনিস চলতে দিলে সমাজের কী হবে?’’  প্রশ্ন তুলেছে বিচারপতি এম বি লোকুর এবং ইউ ইউ ললিতকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sc

দেশ জুড়ে মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনায় অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে উদবেসগ প্রকাশ করেছেন দেশের শীর্ষ আদালত

মণিপুরে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে হত্যার তদন্তে গড়িমসির ঘটনায় আরও একবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সোমবার বিচার বহির্ভূত হত্যার ঘটনায় সিবিআইকে গ্রেফতার এবং প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলল শীর্ষ আদালত।

Advertisment

‘‘সিবিআইয়ের বক্তব্যানুযায়ী মণিপুরে অন্তত চারজন খুনি খোলা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ জিনিস চলতে দিলে সমাজের কী হবে?’’  প্রশ্ন তুলেছে বিচারপতি এম বি লোকুর এবং ইউ ইউ ললিতকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।

সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মাকে আজ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলায় হাজির হওয়ার জন্য শমন পাঠানো হয়েছিল। আদালতে তিনি জানান, হত্যা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং ভুয়ো সংঘর্ষের মামলায় প্রমাণ লোপাটের জন্য ১৪ জনকে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

অলোক ভার্মা জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্ত দল ইতিমধ্যেই দুটি চার্জশিট ফাইল করেছে, এবং আরও পাঁচটি চার্জশিট অগাস্টের শেষে দাখিল করবে বলে আসা করা হচ্ছে। তিনি আশ্বাস দেন, এ বছরের শেষাশেষি ২০টি মামলার তদন্ত শেষ করে ফেলা হবে।

আগামী ২০ অগাস্টের শুনানিতেও সিবিআই প্রধানকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভুয়ো সংঘর্ষ, অপহরণের অভিযোগ তুললেন সেনাকর্মী

এর আগে সিবিআই দাবি করেছিল ৪১টি মামলার মধ্যে ৭টির তদন্ত শেষ করে ফেলেছে তারা। এ ব্যাপারে গত সপ্তাহে নিজেদের অসন্তোষ ব্যক্ত করেছিল আদালত। ভারতীয় সেনাবাহিনী, অসম রাইফেলস এবং মণিপুর পুলিশ ২০০০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ১৫২৮টি ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ।

দু সপ্তাহ আগে শীর্ষ আদালত সিবিআই ডিরেক্টরকে তদন্তের জন্য আধিকারিকদের নিয়ে দল গঠনের নির্দেশ দেন।

একটি জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত খুনের অভিযোগের বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে সে সময়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ’উপদ্রুত এলাকা’য় সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা)-র নামে সশস্ত্র বাহিনী বা পুলিশের ক্ষমতা প্রদর্শনের বাড়াবাড়ি অনুমোদিত নয়। একই সঙ্গে বলা হয়েছিল, দেশের শত্রু, কেবলমাত্র এই সন্দেহের বশে যদি নাগরিকদের হত্যা করা হয়, তাহলে ‘গণতন্ত্র চরম বিপন্ন’ হয়ে পড়বে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র জানিয়েছিল, এ ব্যাপারে সেনা বাহিনীর মানবাধিকার ডিভিশন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে আভ্যন্তরীণ তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। তার উত্তরে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, তাতে ২০ বছরের ১৫২৮ টি ঘটনার যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য রক্ষিত নেই।

শীর্ষ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল সেনাবাহিনীও। তাদের বক্তব্য ছিল, জম্মু-কাশ্মীর এবং মণিপুরের মত অভ্যুত্থানপ্রবণ এলাকায় জঙ্গি দমন অপারেশনের বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা যায় না।

supreme court cbi
Advertisment