Advertisment

হিংসা-হানাহানি! অস্ত্রাগার থেকে লুট হওয়া হাজার হাজার অস্ত্র সাধারণের হাতে, অশান্ত মণিপুরের হাড়হিম ঘটনা

৩রা মে থেকে মণিপুরে দফায় দফায় নিরাপত্তা কর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র লুট বা লুট করার চেষ্টা করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Manipur protests, Manipur violence, Manipur violent protests, Manipur unrest, Meitei community, kuki community, Manipur curfew, Manipur, N Biren Singh, Indian Express, India news, current affairs

৩রা মে থেকে মণিপুরে দফায় দফায় নিরাপত্তা কর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র লুট বা লুট করার চেষ্টা করা হয়েছে।

মৃত্যু-হিংসা-হানাহানি! তিন মাসের বেশি সময় ধরে অশান্তির আগুন মণিপুর জুড়ে। দফায় দফায় আলোচনা হলেও পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এর মাঝেই ভিডিও কাণ্ডে বিদেশের মাটিতেও মুখ পুড়েছে দেশের। সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিবৃতির দাবিতে অনড় বিরোধী দলগুলি। অশান্তির মাঝেই আজ ২ দিনের মণিপুর সফরে যাচ্ছে ‘ইন্ডিয়া জোটে’র ২১ সদস্য। এর মাঝেই কীভাবে অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্রশস্ত্র সাধারণ মানুষের হাতে এসে পৌঁছেছে সেই কাহিনী অবাক করবে আপনাকে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস রাজ্য জুড়ে একাধিক থানায় এফআইআর অ্যাক্সেস করে জানতে পেরেছে ৩রা মে থেকে মণিপুরে দফায় দফায় নিরাপত্তা কর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র লুট বা লুট করার চেষ্টা করা হয়েছে।

Advertisment

মণিপুর হিংসার দুই ধাপে দায়ের করা ৪৬টি এফআইআর ‘বিশ্লেষণ’করে দেখা গিয়েছে অস্ত্রাগারগুলিকে কীভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। দফায় দফায় নিরাপত্তা কর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র লুট করে সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ৪ হাজারের বেশি অস্ত্র।  

৩রা মে থেকে মণিপুরে শুরু হয় হিংসার ঘটনা। এর মাঝে মণিপুরে নিরাপত্তা কর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র লুট বা লুট করার চেষ্টার ঘটনার বিষয়ে একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয়েছে রাজ্যের একাধিক থানায়। যার মধ্যে ২০টি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা কর্মীরা টিয়ারগ্যাস বা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। একই স্থানে তিন সপ্তাহেরও ব্যবধানে দু’বার অস্ত্র লুটের চেষ্টার অভিযোগও সামনে এসেছে।

এফআইআরগুলি বেশির ভাগ ইম্ফল পূর্ব ও পশ্চিম, বিষ্ণুপুর, থৌবাল, কাকচিং এবং চুরাচাঁদপুর জেলার থানায় নিরাপত্তা কর্মীরা দায়ের করেছে। বেশিরভাগই রাজ্যের উপত্যকা অঞ্চলে অবস্থিত অস্ত্রাগারগুলিতে ঘটেছে। নয়টি পার্বত্য জেলা চুরাচাঁদপুরের ঘটে। একই সঙ্গে ২৮ মে শুরু হওয়া হিংসার দ্বিতীয় পর্বের সময়ও বেশ কয়েকটি অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুটের ঘটনা সামনে এসেছে।

 ৪ মে রাতে চুরাচাঁদপুর থানায় জনতা অস্ত্র লুট করতে সক্ষম হয়। একই সঙ্গে পুলিশি হেফাজতে থাকা ৩ জনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জনতা। লুট করা হয় ইনসাস রাইফেল, এসএলআর এবং তিনটি ৯ মিমি পিস্তল তাও মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে। রেকর্ড অনুসারে, হিংসা শুরু হওয়ার পর থেকে মণিপুরে অস্ত্রাগার থেকে ৪হাজারের বেশি অস্ত্র লুট করা হয়, যদিও কিছু পরে উদ্ধার করা হয়েছে।

Manipur
Advertisment