Manipur Meitei: মণিপুর হাইকোর্ট ২০২৩ সালের মার্চের একটি আদেশ থেকে একটি অনুচ্ছেদ মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। ওই অনুচ্ছেদে মণিপুর রাজ্যে তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের তালিকায় মেইতেই সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের অবস্থানের সঙ্গে মানানসই ছিল না। ২০২৩ সালের ২৭ মার্চের সেই নির্দেশের জেরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পার্বত্য রাজ্য। জাতিগত হিংসায় ২০০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছিলেন। বুধবার এক পর্যালোচনা পিটিশনের শুনানির সময় বিচারপতি গোলমেই গাইফুলশিলুর সিঙ্গল বেঞ্চ, নির্দেশটি প্রত্যাহার করেছে।
- - জাতিগত হিংসায় ২০০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছিলেন।
- - তারপর থেকে এখনও মণিপুরে রাজনৈতিক উত্তাপ কমেনি।
- - সুপ্রিম কোর্টও মণিপুর হাইকোর্টের আগের রায়ের সমালোচনা করেছিল।
গত বছরের রায়ের বিতর্কিত অনুচ্ছেদে, মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ে অন্তর্ভুক্তির বিবেচনা ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ বিবেচনা করতে চার সপ্তাহের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল মণিপুর উচ্চ আদালত। ২১ ফেব্রুয়ারি সেই নির্দেশই বাতিল করে বিচারপতি গাইফুলশিল্লুর তাঁর রায়ে তফসিলি উপজাতি তালিকা সংশোধনের জন্য ভারত সরকারের নির্ধারিত পদ্ধতির দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
বিচারপতি গাইফুলশিল্লুর তাঁর ১৯ পৃষ্ঠার রায়ে বলেছেন, কোনও নির্দিষ্ট জাতি, উপজাতি কি না, সেটা বিচার করার এক্তিয়ার আদালতের নেই। অনুচ্ছেদ ৩৪১ এবং ৩৪২-এর অধীনে জারি করা রাষ্ট্রপতির আদেশে উল্লেখ করা আছে, এগুলো বিবেচনার যাবতীয় দায়িত্ব সংসদের। এই সংক্রান্ত আইন বদলাতে হলে, তা কেবল সংসদই করতে পারে।
আরও পড়ুন- রক্তাক্ত আরবভূমি! ভারতের মুন্দ্রা বন্দরের সাহায্যপ্রার্থী ইজরায়েল
এর আগে ২০২৩ সালের ২৭ মার্চে দেওয়া মণিপুর হাইকোর্টের রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, মণিপুর হাইকোর্টের দেওয়া রায় 'আপত্তিকর'। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ বলেছিল, 'আমি আপনাদের (আইনজীবীদের) একটাই জিনিস বলব যে হাইকোর্টের আদেশটি ভুল ছিল। আমি মনে করি আমাদের উচ্চ আদালতের আদেশ স্থগিত করতে হবে। উচ্চ আদালতের আদেশ একেবারেই ভুল।' মেইতিসদের সংখ্যা মণিপুরের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ। এদের বেশিরভাগেরই বসবাস ইম্ফল উপত্যকায়। এছাড়াও মণিপুর উপত্যকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে নাগা এবং কুকিরা। যাদের সংখ্যা ৪০ শতাংশ। এরা মূলত পার্বত্য জেলাগুলোতে বসবাস করে।