মণিপুরে ভূমি ধসের জেরে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এখনও ৩৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদের খোঁজে চলছে অনুসন্ধান অভিযান। উদ্ধারকাজ জারি রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে ফের একবার নয়া উদ্যমে উদ্ধার ও অনুসন্ধান অভিযান শুরু হয়।
নানি জেলার টুপুলে উদ্ধার অভিযানে সামিল ভারতীয় সেনাবাহিনী, অসম রাইফেলস, টেরিটোরিয়াল আর্মি, এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফের দল।উদ্ধার অভিযান চালাতে ওয়াল রাডার ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকী অনুসন্ধান পর্বে সহায়তার জন্য উদ্ধারকারী দল কুকুরেরও সাহায্য নিচ্ছে। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের জেরে কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারাভিযান। এখন পর্যন্ত ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯।
উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা জানিয়েছে মৃত ২৯ জনের মধ্যে ৮ জনই অসমের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ভোরে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নানি জেলা। তার জেরে ১০৭ নম্বর টেরিটরিয়াল আর্মির ক্যাম্পে এলাকায় ধস নামে। সেই ধসের পর থেকে বহু জওয়ান ও বাসিন্দা নিখোঁজ। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই ২৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। আরও অন্ততপক্ষে ৩৮ জন নিখোঁজ বলেই প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন: <NGO-র আড়ালেই নৃশংসতার ফন্দি, অমরাবতী খুনের মাস্টারমাইন্ড ইরফান পুলিশের জালে>
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন খারাপ আবহাওয়া থাকার জন্য উদ্ধারকার্য চালাতে বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছে। এদিন উদ্ধার হওয়া আটটি মৃতদেহের মধ্যে ৫ টি টেরিটরিয়াল আর্মির সদস্যের বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
উদ্ধারাভিযানের দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান, “বৃহস্পতিবার ৮ জনের এবং গতকাল ১৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ১৪ জন কর্মী, ৫ জন গ্রামবাসী, রেলের তিন কর্মী সহ ৩৮ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে”।
আরও পড়ুন: <নাম ভাঁড়িয়ে হাসপাতালে, সদ্যোজাতকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা মায়ের>
এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, রাজ্য পুলিশ, আসাম রাইফেলস এবং স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের সদস্য মিলিয়ে মোট ৫০০ জনের মত উদ্ধারকার্য পরিচালন করছেন। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বৃহস্পতিবার মৃতদের আত্মীয়দের ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন পাশাপাশি আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে।