Advertisment

দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি, গর্জে উঠলেন মণিপুরের মন্ত্রী

হিংসার আতঙ্কে মিজোরাম ছাড়ছেন মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষজন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Manipur Woman Paraded Video

ভিডিও কাণ্ড উত্তপ্ত মণিপুর। এর মাঝেই দোষীদের মৃত্যুদন্ডের দাবি মণিপুরের মন্ত্রীর।

ভিডিও কাণ্ড উত্তপ্ত মণিপুর। এর মাঝেই দোষীদের মৃত্যুদন্ডের দাবি মণিপুরের মন্ত্রীর। ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই মামলায় দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছেন মণিপুরের মন্ত্রী নেমচা কিপগেন। তিনি দাবি করেন, "একজন মহিলার মর্যাদার উপর আক্রমণ ব্যাপকভাবে মানবতার উপর আক্রমণ। দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানাচ্ছি”।,

Advertisment

মণিপুর মন্ত্রিসভার কুকি মন্ত্রী নেমচা কিপগেন ভাইরাল ভিডিও মামলায় দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন। তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে, তিনি বলেছেন, "মা, বোন এবং মেয়েদের ওপর বর্বরতার ভিডিও দেখে আমি মর্মাহত। অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানানোর পাশাপাশি আমি আগেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলাম”।

মণিপুর ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে ষষ্ঠ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে হুমকির পর মিজোরাম থেকে প্রাণভয়ে পালাচ্ছেন মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষরা। এর মাঝেই দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন স্বাতী মালিওয়ালকে মণিপুরে যেতে না দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

মণিপুরের ভাইরাল ভিডিওকাণ্ডে এক নাবালক সহ ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে মণিপুর পুলিশ। রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই অবরোধ চলছে। পাহাড় ও উপত্যকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন স্বাতী মালিওয়ালকে মণিপুরে যেতে দেওয়া হয়নি। অভিযুক্তদের ধরতে রাজ্যজুড়ে একাধিক পুলিশি দল মোতায়েন করা হয়েছে। হিংসার আতঙ্কে মিজোরাম থেকে পালাচ্ছে মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষজন।

গত ৪ মে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মেইতেই সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ দুই কুকিজোমি সম্প্রদায়ের মহিলাকে নগ্ন করে প্রকাশ্যে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ ওঠে গণধর্ষণেরও। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সারাদেশের মানুষজন প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি দাবি ওঠে। এর আগে গ্রেফতার হওয়া চার আসামিকে ১১ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল ভাইরাল ভিডিও’র পর মণিপুরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে মণিপুর সরকার তাকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে। মালিওয়ালের মণিপুর সফর ২৩ জুলাই নির্ধারিত ছিল এবং তিনি সেখানে থাকতেন ৩০ জুলাই পর্যন্ত। ডিজিপিকে একটি চিঠিতে, তিনি জানিয়েছেন, যে তিনি রাজ্য পরিদর্শন করতে এবং প্রকৃত সত্য অনুসন্ধান করতে চান। বৃহস্পতিবার তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠিও লিখেছেন।

ফের হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে মণিপুরের চুরাচাঁদপুরে। এখানে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা সামনে আসে। এর পর এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে মণিপুরের প্রায় সব জেলাতেই চলছে অবরোধ। পাহাড় ও উপত্যকায় ১২৫টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য প্রায় ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Manipur
Advertisment