বিগত কয়েক মাস ধরেই চর্চায় থেকেছে মণিপুরের হিংসা পরিস্থিতি। যা নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। মণিপুর নিয়ে ইতিমধ্যে সংসদে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী।মঙ্গলবার দেশের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশে ভাষণেও মোদীর মুখে উঠে এল মণিপুর প্রসঙ্গ। কীভাবে শান্তি পুনপ্রতিষ্ঠিত হবে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে? মণিপুরের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে দেশবাসীকে লালকেল্লা থেকে তা বাতলালেন নরেন্দ্র মোদী। গোটা দেশ মণিপুরের পাশে রয়েছে বলে মণিপুরবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে মণিপুরের হিংসা, সে রাজ্যের মহিলাদের উপর অত্যাচারের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন নমো। তিনি বলেছেন, 'গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বিশেষত মণিপুরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিল। অনেক হিংসার সাক্ষী হয়েছে মণিপুর। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, মা-বোনেদের সম্মান নষ্ট হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে সেখানে শান্তি ফিরে এসেছে বলে খবর মিলেছে।'
মোদীর কথায়, 'ধীরে-ধীরে মণিপুরে শান্তি ফিরে আসছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার মণিপুরের শান্তি ফেরাতে অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। গোটা দেশ মণিপুরের পাশে রয়েছে। মণিপুরের মানুষকে এই শান্তি বজায় রাখতে হবে। শান্তির মধ্য দিয়েই মণিপুরের সমস্যার সমাধানের পথ মিলবে।'
মণিপুরের দুই জনজাতি কুকি এবং মেইতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে গত প্রায় তিম মাস ধরে অশান্ত হমণিপুর। হিংসায় কয়েক'শ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ ঘরছাড়া। চরম নির্যাতনের শিকার মহিলারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত তিনমাস ধরে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল চলছে। মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ। গত মাসে দুই মহিলার চরম অসম্মানের ন্যক্কারজনক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় গোটা দেশ। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। তাঁর সেই আশ্বাসের পরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে মণিপুর পুলিশ। কিন্তু, তারপরেও সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি জানিয়ে সরব হন বিরোধীরা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনে বিরোধী শিবির। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে দাঁড়িয়ে মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিয়ে বিরোধীদের অনাস্থার জবাব দেন এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে অনাস্থা ভোটের ফলাফল হয় শাসক জোটের পক্ষে।