আর্থিক দুর্নীতি ও প্ৰশাসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আদ্য প্ৰসাদ পাণ্ডেকে সাসপেন্ড করার দিন তিনেকের মধ্যে কম করে ৯০ জন পড়ুয়া সহ পাঁচ অধ্যাপককে আটক করল মণিপুর পুলিশ। ইম্ফলের অংশ বিশেষে বন্ধ রাখা হয়েছে মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মীকেও আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এ পি পাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো উচ্চ পদাধিকারী ব্যক্তিও রয়েছেন ধৃতদের মধ্যে।
সদ্য নিযুক্ত হওয়া প্রো উপাচার্য কে যুগিন্দ্র সিং স্থানীয় থানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন, দায়িত্ব নেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়। ১০ সেপ্টেম্বর উপাচার্য আদ্য প্ৰসাদ পাণ্ডে প্রো উপাচার্য হিসেবে যুগিন্দ্র সিংকে নিযুক্ত করেছিলেন।
আরও পড়ুন, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আসা জাতীয় সড়ক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উড়িয়ে দিল ত্রিপুরা সরকার
২০১৬ সালে মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আদ্য প্ৰসাদ পাণ্ডেকে নিযুক্ত করে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও প্ৰশাসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ ওঠার পর ২ আগস্ট পাণ্ডেকে ছুটিতে পাঠানো হয়। কেন্দ্রের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে পাণ্ডের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের জন্য স্বাধীন প্যানেল গঠন করা হয়। চূড়ান্ত অশান্তির জেরে ৮৫ দিন বন্ধ থাকার পর ২৩ আগস্ট খোলে মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মণিপুরের মুখ্য সচিব সুরেশ বাবু ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিকদের বলেন, "উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যুগিন্দ্র সিং এলে কয়েকজন শিক্ষক এবং ছাত্র তাঁকে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে সন্ধ্যে পর্যন্ত আটকে রাখে। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেন যুগিন্দ্র সিং"।
নিজের অভিযোগ জানিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন যুগিন্দ্র সিং। ১৭ জন পড়ুয়া, পাঁচজন অধ্যাপক এবং একজন কর্মীর নামের উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে।