Advertisment

Manipur Tension: ভয়ংকর উত্তেজনায় কাঁপছে মণিপুর, পুলিশ হত্যা, জারি কার্ফু

Manipur Curfew: সোমবার অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পর, তাদের মুক্তির দাবিতে বিরাট জনতা মোরে থানার চারপাশে জড় হন। আর, বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে সংখ্যা বাড়িয়ে ওই বিক্ষোভরত জনগণকে প্রাথমিকভাবে ছত্রভঙ্গ করেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Manipur Violence। Manipur Killings

Manipur Violence: পরিস্থিতি বেগতিক বোঝার পরই জারি করা হয় কার্ফু।

Manipur Curfew Imposed: পুলিশ অফিসার আনন্দ কুমারকে হত্যার ঘটনায় মণিপুরের মোরেহতে দু'জনকে গ্রেফতার করার একদিন পর, উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় সীমান্ত শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায়, মণিপুর পুলিশ ফিলিপ খাইখোলাল খংসাই এবং হেমখোলাল মেটকে গ্রেফতার করেছে। উভয়েই মহকুমা পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) হত্যার জন্য প্রধান সন্দেহভাজনদের অন্যতম। পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেল ৪টা ৩০ নাগাদ মোরেহ কলেজের কাছে টহলরত নিরাপত্তা কর্মীরা দুই ব্যক্তিকে পুলিশের গাড়িতে গুলি চালাতে দেখেন।

Advertisment

অভিযুক্তরা পালিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা চালায়। পালটা গুলি চালান নিরাপত্তা কর্মীরা। এলাকার বাড়িঘর ঘেরাও করে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের থেকে গুলি-সহ পিস্তল, হ্যান্ড গ্রেনেড, একে সিরিজের গুলি, বেশ কিছু ডিটোনেটর উদ্ধার হয়েছে। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর, এসডিপিও চিংথাম আনন্দ কুমারকে মায়ানমার সীমান্তবর্তী শহর মোরে-তে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। মোরে অঞ্চলে একটি মিশ্র জনসংখ্যা রয়েছে। সেখানে কুকি-জোমি সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ। আর, কুমার মেইতেই সম্প্রদায়ের ছিলেন।

সোমবার অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পর, তাদের মুক্তির দাবিতে বিরাট জনতা মোরে থানার চারপাশে জড় হন। আর, বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে সংখ্যা বাড়িয়ে ওই বিক্ষোভরত জনগণকে প্রাথমিকভাবে ছত্রভঙ্গ করেন। কিন্তু, এরপর মোরে শহরে নতুন করে শুরু হয় উত্তেজনা। টেংনোপাল জেলা প্রশাসনের কাছে খবর আসে, বড়সড় অশান্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মানুষের জীবন ও সম্পত্তির জন্য মারাত্মক বিপদ হতে পারে। এরপরই আর দেরি না-করে, তড়িঘড়ি গোটা টেংনোপাল জেলায় সম্পূর্ণ কারফিউ জারি করা হয়।

আরও পড়ুন-  সত্যিটা ফাঁস! কেন কংগ্রেস রাম মন্দির উদ্বোধনে নেই, খোলাখুলি জানালেন রাহুল

পুলিশ সূত্রে খবর, একই সময়ে মোরেহ থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া মেইতেই সম্প্রদায়ের লোকেরাও মঙ্গলবার ইম্ফলের একটি ত্রাণ শিবিরে বিক্ষোভ দেখায়। যাতে ধৃতদের এনআইএর হাতে তুলে দেওয়া হয়। মণিপুরে গন্ডগোল শুরু হওয়ার পর থেকে মোরেহ শহরের ৩,০০০ মেইতেই বাসিন্দা পালিয়ে ওই ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

Murder Curfew Manipur Manipur Violence
Advertisment