মণিপুরের নানি জেলায় ভয়াবহ ধসে অন্ততপক্ষে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ অন্তত ৫০ জন। বৃহস্পতিবার ভোরে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নানি জেলা। তার জেরে ১০৭ নম্বর টেরিটরিয়াল আর্মির ক্যাম্পে এলাকায় ধস নামে। সেই ধসের পর থেকে বহু জওয়ান ও বাসিন্দা নিখোঁজ। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। আরও অন্ততপক্ষে ৫০ জন নিখোঁজ বলেই প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত আট জনের মধ্যে সাত জনই টেরিটরিয়াল আর্মির জওয়ান। অষ্টম জন রেলের শ্রমিক। ওই ব্যক্তি ঘটনার সময় ইম্ফল-জিরিবাম রেল প্রকল্পের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। প্রাদেশিক সেনার বাহিনীকে নির্মীয়মাণ জিরিবাম থেকে ইম্ফলগামী রেললাইনের সুরক্ষার দায়িত্ব রাখা হয়েছিল। নানি জেলার তুপুল রেল স্টেশনের কাছে ওই জওয়ানরা শিবির করেছিলেন।
আরও পড়ুন- কানহাইয়া লালের খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল রাজস্থান, তড়িঘড়ি পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ গেহলটের
ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ধস নামে। দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ১৩ জনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের নানি আর্মি মেডিক্যাল ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তিনি ঘটনাস্থল এবং উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করেন। পরে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেন, 'আজ টুপুলে ভূমিধসের পরিস্থিতি মূল্যায়নে জরুরি বৈঠক ডেকেছি। ইতিমধ্যেই তল্লাশি ও উদ্ধারকাজ চলছে। আসুন, আমরা প্রার্থনা করি। উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের সঙ্গে চিকিৎসকদেরও পাঠানো হয়েছে।'
সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকাজ দ্রুতগতিতে চলছে। বেশ কয়েকজন ধসে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে অসম রাইফেলও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। উদ্ধারকাজে মাটি খুঁজে চাপা পড়ে থাকা জওয়ানদের বের করে আনতে যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। ধসে ইজাই নদীর গতিপথেরও ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যেই উদ্ধারকাজ চলার সময় বারবার ধস নেমেছে। যাতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছে। পাশাপাশি, খারাপ আবহাওয়ার জন্যও উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলেই সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
Read full story in English