Advertisment

'নরসিমহা রাও গুজরালের কথা শুনলে শিখ গণহত্যা হতো না', বললেন মনমোহন

১৯৮৪ সালে তাঁর চার শিখ নিরাপত্তা রক্ষীর গুলিতে নিহত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, যার পরে শিখ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভে এবং হিংসায় ফেটে পড়ে সারা দেশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Manmohan Singh, 1984 sikh riots

মনমোহন সিং। ফাইল ছবি

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বুধবার বলেন, ১৯৮৪ সালে দিল্লিতে শিখ গণহত্যা এড়ানো যেত যদি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাও ইন্দ্রকুমার গুজরালের কথা শুনতেন। ১৯৯৭-৯৮ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন গুজরাল, যাঁর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন মনমোহন সিং।

Advertisment

তাঁর কথায়, "১৯৮৪ সালের দুঃখজনক ঘটনা যখন ঘটে, সেই মর্মান্তিক সন্ধ্যায় গুজরালজি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাওয়ের কাছে গিয়ে বলেন, পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব সেনাবাহিনীকে তলব করা। সেই উপদেশ যদি মানা হতো, তাহলে হয়তো ১৯৮৪ সালে যে গণহত্যা ঘটে, তা এড়ানো যেত।"

উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে তাঁর চার শিখ নিরাপত্তা রক্ষীর গুলিতে নিহত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, যার পরে শিখ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভে এবং হিংসায় ফেটে পড়ে সারা দেশ। এর ফলে দেশজুড়ে প্রাণ হারান প্রায় তিন হাজার শিখ ধর্মাবলম্বী। শিখদের বিরুদ্ধে ক্রোধান্ধ জনতাকে উত্তেজিত করার অভিযোগ ওঠে একাধিক কংগ্রেস নেতার নামে।

২০০৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে সেই গণহত্যার জন্য ক্ষমা চান সংসদের সদস্যদের কাছে, এবং সারা দেশের কাছেও। সেইসময় তিনি বলেন, "শুধুমাত্র শিখ সম্প্রদায়ের কাছে নয়, সারা দেশের কাছেই আমার ক্ষমা চাইতে কোনও দ্বিধা নেই। এ ধরনের ঘটনা যে আদৌ ঘটেছিল, সেই লজ্জায় আমার মাথা নিচু হয়ে যায়।" অতীতে এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীও। এবং রাহুল গান্ধী বলেছেন, তিনি তাঁর দলের নেতাদের "আবেগের অংশীদার"।

বুধবারের অনুষ্ঠানে মনমোহন সিং এও জানান, কীভাবে ১৯৭৫-৭৭ এর জরুরি অবস্থার পর সুদৃঢ় হয় তাঁর এবং গুজরালের সম্পর্ক। সংবাদ সংস্থা এএনআই মনমোহন সিংকে উদ্ধৃত করে বলেছে, "তিনি (গুজরাল) সেসময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ছিলেন, এবং জরুরি অবস্থার কিছু দিক নিয়ে তাঁর সমস্যা হওয়ায় তাঁকে প্রতিমন্ত্রী বানিয়ে প্ল্যানিং কমিশনে সরিয়ে দেওয়া হয়। আমি তখন অর্থমন্ত্রকের অর্থনৈতিক উপদেস্তা...সেখান থেকেইই গড়ে ওঠে আমাদের সম্পর্ক।"

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও।

Advertisment