গুরুনানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৯ নভেম্বর খুলতে চলেছে বহু প্রতীক্ষীত কর্তারপুর করিডর। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে আমন্ত্রণ জানান এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য। জানা যাচ্ছে, সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন ডঃ মনমোহন সিং। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এই প্রসঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং একটি টুইট করে বলেন, "আজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড: মনমোহন সিংয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে পেরে ভাল লাগল। সুলতানপুর লোধীতে গুরুনানকদেবের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কর্তারপুর সাহেব গুরুদ্বারে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলাম।"
অমরিন্দর সিং বলেন, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উভয়ই গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কর্তারপুর গুরুদ্বারে যাওয়ার জন্য পাঞ্জাব সরকারের আমন্ত্রণে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। সরকারি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কর্তারপুর অনুষ্ঠানের সমস্ত বিবরণ রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। এমনকি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর তরফেও তাঁদের এই অনুষ্ঠানে থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, কর্তারপুরে দরবার সাহিবের সঙ্গে পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের ডেরা বাবা নানক সৌধের সংযোগ রক্ষা করবে এই করিডর। তাই এই করিডর উদ্বোধন করার জন্য বিশেষভাবে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- তিহার জেলেই চিদাম্বরম, বাড়ল হেফাজতের মেয়াদ
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে লিখিত আমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হবে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। পিটিভি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কুরেশি বলেন, ‘‘কর্তারপুর করিডর উদ্বোধন একটা বড় অনুষ্ঠান। পাকিস্তান সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে আমন্ত্রণ জানাবে। এ জন্য মনমোহন সিংকে লিখিত আকারে আমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হবে। শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা মনমোহন সিংকে আমন্ত্রণ জানাব। উনি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’’। তিনি আরও জানান, ‘‘এই অনুষ্ঠানে সমস্ত শিখ তীর্থযাত্রীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে’’।
আরও পড়ুন- মার্কিন পত্রিকার জন্য গান্ধীজীর ওপর প্রবন্ধ লিখলেন নরেন্দ্র মোদী
উল্লেখ্য, ভারত থেকে আসা ৫ হাজার শিখ তীর্থযাত্রীকে কর্তারপুর করিডোরের মাধ্যমে নরওয়ালের দরবার সাহিবে যাওয়ার অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন যাতে ৩০ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২১জনকে নানকান সাহিবে পাঠের (ধর্মীয় স্তোত্র) জন্য যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে, সেখানে তাঁরা ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ করে একটি 'নগর কীর্তন'ও বের করবে, যেটি অমৃতসর (ওয়াঘা) হয়ে সুলতানপুর লোধীতে যাবে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর তরফে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের কাছে নানকান সাহিবে অতিথিদের যাওয়ার জন্য একটি নিয়মমাফিক ছাড়পত্রের আবেদনও করা হয়েছে।
Read the full story in English