আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের জনস্বার্থে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আর্জি জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। মঙ্গলবার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সংগঠন ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন সঙ্গে মন্ত্রীর বৈঠক হয়। সেখানেই তাঁর আশ্বাস, সরকার সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে এবং নির্ধারিত তারিখের আগে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টের ভিত্তিতে উপযুক্ত জবাব সুপ্রিম কোর্টে জমা করা হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা অনবদ্য কাজ করেছে বলেও প্রশংসা করেছেন মন্ত্রী।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য বলেছেন যে, 'স্নাতকোত্তর স্তরে নিট কাউন্সেলিংয়ে দেরির কারণে গত কয়েকদিন ধরে আবাসিক চিকিৎসকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে নির্মাণ ভবনে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।' মন্ত্রীর দাবি, 'সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় আমরা কাউন্সেলিং করতে পারিনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ জানুয়ারি। তার আগেই ভারত সরকারের পক্ষে রিপোর্ট সহ জবাব শীর্ষ আদালতের কাছে পেশ করা হবে। দ্রুত যাতে কাউন্সিলিং শুরু হয়, তার জন্য সরকারের তরফে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হবে।'
স্নাতকোত্তর স্তরে নিট কাউন্সেলিংয়ে দেরি কেন হচ্ছে? এই নিয়েই চিকিৎসকরা প্রশ্ন তুলেছিলেন। সরকারের কাছে জবাবদিহি দাবি করেন। কিন্তু, উপযুক্ত জবাব না মেলায় আন্দোলনে নেমেছেন আবাসিক চিকিৎসকরা। সোমবার কেন্দ্র পরিচালিত সফরদরজঙ্গ হাসপাতালে জমায়েত করে। সেখান থেকে তারা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলে পুলিশ আটকায়। বেশ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর মধ্যেই আন্দোলনকারী চিকিৎসক ও পুলিশের মধ্যে বচসা, ধস্তাধস্তি হয়। চিকিৎসকদের অভিযোগ দিল্লি পুলিশ তাঁদের হেনস্থা করেছে। প্রতিবাদে এদিন জরুরি পরিষেবা ছাড়া কোনও বিভাগেই কাজে যোগদেননি চিকিৎসকরা। ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন ও ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন নামন দু'টি চিকিৎসকদের সংগঠন বিক্ষোভে শামিল হয়। মন্ত্রীর আলোচনা নাকরলে ও উপযুক্ত জবাব না পেলে বুধবার থেকে দেশব্যাপী চিকিৎসকদের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
এদিকে চিকিৎকদের আন্দোলনের ফলে ব্যহত পরিষেবা। দিল্লির সাত হাসপাতালে নাকাল হতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের। পরিস্থিতি ভয়াবহ দিকে এগোচ্ছে। সম্ভব তা আঁচ করেই শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবারই আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।
Read in English